—প্রতীকী চিত্র।
বন্ধুর কাছ থেকে তাঁর স্কুটারটি কিনেছিলেন এক যুবক। এক মাস ব্যবহার করার পরে দশমীর রাতে দেখতে পেলেন, বাড়ির সামনে থেকে উধাও ওই স্কুটার। সেটি উদ্ধারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। আর সেই চুরির অভিযোগে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযোগকারী যুবকের ওই বন্ধুকেই! ধৃতের নাম মহম্মদ হাসমত। তাঁর বাড়ি খিদিরপুরের কবিতীর্থ সরণিতে।
ধৃতকে জেরা করে বীরভূমের নানুরের নতুন গ্রামে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া স্কুটারটি। হাসমতকে শনিবারই আলিপুর আদালতে তোলা হলে মঙ্গলবার পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, অভিযোগকারী যুবক আব্দুল জব্বর খিদিরপুরের কার্ল মাক্স সরণির বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধুত্ব রয়েছে হাসমতের। অভিযোগকারী পুলিশকে জানিয়েছেন, মাসখানেক আগে টাকার প্রয়োজন বলে হাসমত ওই স্কুটারটি তাঁর কাছে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। তবে স্কুটারের দ্বিতীয় চাবিটি হাসমত তাঁকে দেননি বলেই জানান অভিযোগকারী।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা না থাকায় প্রথমে বিপাকে পড়েন তাঁরা। অভিযোগকারীকে জেরা করে তাঁরা জানতে পারেন যে, স্কুটারটি সেকেন্ড হ্যান্ড। যা কেনা হয়েছে হাসমতের থেকে এবং এক মাস পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় চাবিটি আব্দুলকে দেননি তিনি। এর পরেই হাসমতকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশকর্তা জানান, প্রথমে সব কিছুই অস্বীকার করেছিলেন হাসমত। কিন্তু মোবাইলে ফোনের তালিকা খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, চুরির সময়ে ঘটনাস্থলেই ছিলেন হাসমত। শুধু তাই নয়, সেখান থেকে তিনি বীরভূমের নানুরে চলে যান। তবে পরের দিন ফিরে আসেন কলকাতায়। এর পরেই হাসমতের ভূমিকা নিয়ে পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয়। বৃহস্পতিবার জেরার পরে চুরির কথা স্বীকার করেন হাসমত। তদন্তকারীরা জানান, ধৃত জেরায় জানিয়েছেন, স্কুটারটি ফের বিক্রির জন্য তিনি বীরভূমে নিয়ে যান। কিন্তু ক্রেতা না পাওয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে সেটি রেখে ফিরে আসেন।