এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টার। —ফাইল চিত্র।
এসএসকেএমে ঢুকে তাণ্ডব এবং এক যুবককে মারধরের ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতার ভবানীপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সোমবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যে বাইকগুলি নিয়ে অভিযুক্তেরা হাসপাতালে ঢুকেছিল, সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টার কিছু পরে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের সামনে সৌরভ মোদক নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাইক নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকেছিল ১৫-২০ জনের একটি দল। যুবকদের হাতে ছিল উইকেট, হকি স্টিক। তাঁরা মারধর করে আবার বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান। যে যুবক প্রহৃত হন, তাঁর বাবা ট্রমা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রবিবারই তাঁর হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল। আহত সৌরভের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। মাথা, মুখ, পা এবং কব্জিতে আঘাত পেয়েছেন ওই যুবক।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল থেকেই রবিবারের ওই ঘটনা ঘটেছে। আহত সৌরভ একটি গোষ্ঠীর বলে জানা যাচ্ছে। হসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়। যে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম আরমান বড়ুয়া, জিৎ ঘোষ, অভিজিৎ ঘোষ, নিয়াজ আহমেদ এবং শাহনাজ আলি খান। ধৃতদের সকলের বয়স বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এসএসকেএমে ওই অশান্তির আগে সৌরভের গোষ্ঠীর সঙ্গে একপ্রস্ত কথা কাটাকাটি হয়েছিল অভিযুক্তদের। সৌরভ হাসপাতালে যাওয়ার সময় তাঁর পিছু নিয়েছিলেন অন্য গোষ্ঠীর যুবকেরা। তার পরেই চলে মারধর।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে যখন অনশন এবং আন্দোলনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা, বিচারের দাবি এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে, তখন রাজ্যের বৃহত্তম সরকারি হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে ওই মারামারির ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়। রবিবারই এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তারেরা হাসপাতালের এবং হাসপাতালে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আঙুল ওঠে পুলিশ এবং প্রশাসনের দিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবারের ঘটনায় আরও তথ্যের জন্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।