—প্রতীকী চিত্র।
রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মুকুন্দপুরে একটি হাসপাতালে। হাসপাতালে ভাঙচুর এবং চিকিৎসকদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। পাল্টা চিকিৎসায় গাফিলতি, বিশাল অঙ্কের বিল করার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অশান্তির খবর পেয়ে বাইপাসের ধারে ওই হাসপাতালে গিয়েছে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অষ্টমীর রাতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন উত্তর কলকাতার বরাহনগরের এক যুবক। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে। রোগী পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের বলা হয়েছিল, রোগীর চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছে। অন্যত্র স্থানান্তরের কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু কয়েক দিনে বিশাল অঙ্কের বিল হয় হাসপাতালে। তার পরে ওই যুবকের মৃত্যুও হয়েছে। সোমবার এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি। তার পরেই অশান্তির ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের তরফে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা এবং রিসেপশনে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও রোগীর পরিবার এবং পরিজনেরা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। পুলিশও ছিল।
সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ ওই হাসপাতালে গিয়েছে বলে খবর। তারা দুই পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন-আন্দোলন করছেন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। তার মধ্যে রবিবার সকালে এসএসকেএমে ঢুকে এক রোগীর আত্মীয়কে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বাইকে চেপে হাসপাতালে ঢোকে জনা ১৫ যুবক। তাদের হাতে ছিল উইকেট, হকি স্টিক। তাদের মারে মাথা ফাটে বাঁকুড়ার এক বাসিন্দার। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এসএসকেএমে। তার মধ্যে হাসপাতালে ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।