বাসের জন্য অপেক্ষায়।—ছবি এপি।
সঙ্কট ক্রমেই বাড়ছে রাজ্যের পরিবহণ শিল্পে। কেন্দ্র-রাজ্যের কাছে বারবার ‘দরবার’ করলেও তেমন সুরাহা মিলছে না বলেই অভিযোগ বাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব-সহ বিভিন্ন যানবাহনের মালিক ও কর্মীদের। এমন পরিস্থিতিতে সঙ্কট কাটাতে এ বার সকলকে এক ছাতার তলায় এনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানোর পরিকল্পনা করেছে ‘অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার অ্যাপক্যাব, হলুদ ট্যাক্সি, লাক্সারি ট্যাক্সির প্রায় ন’টি সংগঠনকে নিয়ে বৈঠকে বসে পূর্ব ভারতে অটোমোবাইলের ওই সংগঠন। তৈরি হয়েছে যৌথ ফোরাম।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত কী ভাবে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, সে বিষয়ে এ দিনের বৈঠকে নিজেদের বক্তব্য জানান উপস্থিত সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কয়েকটি সংগঠন ইতিমধ্যেই ট্যাক্সির ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। একটি ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা তথা এআইটিইউসি অনুমোদিত ‘ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স’-র সম্পাদক নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘বৈঠকেও জানিয়েছি পরিবহণ-শিল্প কোমায় চলে গিয়েছে। সেটিকে পুনরায় বাঁচিয়ে তুলতেই সকলে একত্রিত হয়েছি। এতে কোনও রাজনীতি নেই।’’
রাজ্য সরকার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পথকর দেওয়ার সুযোগ দিলেও, বিমা, ঋণের কিস্তির বিষয়ে কেন্দ্র কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তি হচ্ছে বলেও জানান ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে নিয়ে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্টার ফোরাম’ তৈরির পরে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরিবহণ কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা, পরিবহণ ক্ষেত্রে এককালীন অনুদান, বাস, ট্যাক্সি, ক্যাবকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা, রাজ্য সরকারের তরফে অনলাইন ক্যাব পরিষেবা চালু—মূলত এই চারটি বিষয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানানো হবে।
‘অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র সভাপতি মদন মিত্রের কথায়, ‘‘সমস্ত ক্ষেত্রেই সঙ্কট কাটাতে সদর্থক পদক্ষেপ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র প্রতি মুহূর্তে বঞ্চনা করলে রাজ্যের পরিবহণ সঙ্কট কাটাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন বলেই আশা রয়েছে। তাই সকলকে এক ছাতার তলায় আনা হচ্ছে।’’ শনিবার বাস ও রবিবার লরির সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করবে ওই অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন।