প্রতীকী ছবি
সরকারি নির্দেশে আজ, সোমবার হাওড়াতেও পুরসভা-সহ সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খুলতে চলেছে। তবে মঙ্গলাহাট বসার অনুমতি পেল না। প্রাথমিক ভাবে আজ থেকে হাট চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে রবিবার পুলিশের পক্ষ থেকে হাট বসতে দেওয়া হবে না বলে হাটমালিকদের সংগঠনগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল এ দিন বলেন, ‘‘হাট চালু করার ব্যাপারে কোনও সরকারি নির্দেশ আমরা পাইনি। নির্দেশ এলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
হাওড়ার মঙ্গলাহাটে সোম ও মঙ্গলবার লক্ষ লক্ষ ক্রেতা-বিক্রেতা বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। লকডাউনের জন্য গত দু’মাস হাট বন্ধ থাকার পরে সেখানকার ব্যবসায়ী সংগঠন হাট খোলার আর্জি জানিয়ে গত শুক্রবার হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে, মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে শর্তসাপেক্ষে হাট বসতে দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রশাসনের সমস্ত শর্ত মেনে চলা হবে বলে তাঁরা লিখিত ভাবে পুলিশকর্তাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু নবান্নের অনুমতি না আসায় পুলিশ হাট বসতে দিচ্ছে না। সেন্ট্রাল হাওড়া নিউ গণেশ মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মানিক সাহা এ দিন বলেন, ‘‘সমস্ত শর্ত মেনে হাট খুলতে চাইলেও পুলিশ নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, হাট বসতে দেওয়া হবে না।’’
লকডাউনের সময়ে জেলা প্রশাসন ও পুরসভার কিছু জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও অধিকাংশ দফতর সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। অবশ্য পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর, বিদ্যুৎ বিভাগ, নিকাশি ও সাফাই বিভাগ-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা নিয়মিত কাজ করেছেন।
পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘৭০ শতাংশ কর্মী নিয়েই সোমবার থেকে চালু হবে হাওড়া পুরসভা। কাউন্টারে বসা কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য জানলাটি প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঘেরা হয়েছে। পর্দায় দু’টি ছিদ্র থাকবে কথা শোনার জন্য।’’ তিনি জানান, দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কাউন্টারের সামনে গোল দাগ দিয়ে দাঁড়ানোর জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পুরসভার মূল অফিসে আসা প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে সরকারি নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরো অফিসগুলিতেও একই ব্যবস্থা থাকবে।
আরও পড়ুন: ফেরাল আট হাসপাতাল, বিনা চিকিৎসায় অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার