minibus

টিমটিম করে টিকে মিনিবাস, সঙ্কটে বেহালার বহু রুট

সব চেয়ে খারাপ অবস্থা মিনিবাসের। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও জোকা থেকে রুবির মধ্যে চলত ১৫টি মিনিবাস। প্রদীপের সলতেটুকু রয়ে যাওয়ার মতো এখন চালু রয়েছে মাত্র একটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪১
Share:

সব চেয়ে খারাপ অবস্থা মিনিবাসের। ফাইল ছবি।

মেট্রোর জন্য জমি ছেড়ে দিতে গিয়ে বছর বারো আগে বেহালা থেকে বিদায় নিয়েছিল ট্রাম। সম্প্রতি ওইএলাকায় মেট্রো পরিষেবা শুরু হলেও তা এখনও অনিয়মিত। অন্তত মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারিত না হলে তার সুফল পাবেন না বেহালাবাসীরা।

Advertisement

তবে মেট্রো পরিষেবা শুরু হলেও বেহালায় সঙ্কট ঘনাচ্ছে গণপরিবহণে। গত কয়েক বছরে উধাও হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ বেসরকারি বাস। নানাবিধ সমস্যায় বন্ধ সরকারি বাসের একাধিক রুটও। ফলে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ডায়মন্ড হারবার রোড, পর্ণশ্রী, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, ঠাকুরপুকুর-সহ সর্বত্র শুরু হচ্ছে অটোর দাপাদাপি। যাত্রীদের অভিযোগ, অটোচালকদের মর্জিমতো চলতে গিয়ে তাঁদের বাড়ি ফিরতে প্রাণান্তকর অবস্থা হচ্ছে।

বাস মালিক সংগঠন সূত্রের খবর, সব চেয়ে খারাপ অবস্থা মিনিবাসের। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও জোকা থেকে রুবির মধ্যে চলত ১৫টি মিনিবাস। প্রদীপের সলতেটুকু রয়ে যাওয়ার মতো এখন চালু রয়েছে মাত্র একটি। শখেরবাজার-হাওড়া রুটে আগে ২০টি বাস চললেও এখন সচল ৮-৯টি। তা-ও সব বাস প্রতিদিন পথে নামে না। শীলপাড়া থেকে শিয়ালদহ রুটটাই উঠে গিয়েছে। বেহালা চৌরাস্তা-হাওড়া রুটের ২০টি বাসের মধ্যে যাত্রী পরিবহণ করে সাকুল্যে ৫-৬টি। কালীতলা-হাওড়া মিনিবাসের রুটে পড়ে আছে একটি মাত্র বাস। শুধুমাত্র বেহালা-রাজাবাজার মিনিবাস রুট মোটামুটি ভাবে সচল রয়েছে।

Advertisement

বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে ৭৫, এসডি-৭৬, ৮৩, ৪০, ৭৭, ১৮বি, ১৮সি, ২১/১-সহ সব রুটেই বাসের সংখ্যা কমছে। যদিও মিনিবাসের মতো অবস্থা তলানিতে ঠেকেনি। তবে যাত্রী ভাড়া থেকে আয় নিয়ে চিন্তায় প্রায় সব বাস রুটই। সরকারি ক্ষেত্রে বাস কমেছে ১২বি, ৩এ রুটে। বন্ধ এস-৪৮ এবং এস-৫৫ বাস রুট। পর্ণশ্রী থেকে সাপুরজি পর্যন্ত বাতানুকূল বাসের রুটও বন্ধ। বাসমালিকেরা বলছেন, এই প্রবণতা চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫ বছরের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরে অধিকাংশ রুট কার্যত মুছে যাবে।

এ প্রসঙ্গে ‘মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি’র যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, "গত কয়েক বছরে ডিজ়েলের দামের পাশাপাশি বিমা এবং যন্ত্রাংশের খরচ বেড়েছে বিপুল। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জরিমানা। অথচ বাস ভাড়া বাড়েনি এক টাকাও।’’

বাসমালিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিভিন্ন রুটে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া যাচ্ছে বলে এখনও কিছু বাস চলছে। তবে অটোর দাপটে যাত্রী যে ভাবে কমছে, তাতে সরকার অবিলম্বে পদক্ষেপ না করলে বাস উঠে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর তরফে টিটু সাহা বলেন, "অন্তত ১০ লক্ষ টাকার আমানত না দেখালে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ মেলে না। এর সঙ্গে বাস চালানোর দৈনন্দিন ঝক্কি তো আছেই। এই অবস্থায় নতুন কেউ এই পেশায় আসতে চাইছেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement