ফাইল চিত্র।
পাভলভ-কাণ্ডে সুপার গণেশ প্রসাদের জবাব সন্তোষজনক নয়। সূত্রের খবর, সুপারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবছে স্বাস্থ্য দফতর।
পাভলভ মানসিক হাসপাতালে রোগীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেওয়া হয় নিম্ন মানের খাবার— সম্প্রতি এমনই নানা অভিযোগ ওঠে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাসপাতালের সুপার গণেশ প্রসাদকে তলব করে স্বাস্থ্য দফতর। ডাক পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরে হাজিরা দেন সুপার। তিন পাতার চিঠিতে শোকজের জবাবও দেন। চিঠিতে স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমাও চেয়েছেন সুপার।
জানা গিয়েছে, শোকজের জবাবি ঠিঠিতে সুপার জানিয়েছেন যে, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টরা কী করছেন, তার নিয়মিত নথি রাখেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, হাসপাতালের রোগীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে মনোবিদদের ‘গাফিলতি’ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
হাসপাতালে ডায়েট কমিটি নেই বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে সুপার জানিয়েছেন, ওই কমিটি নিয়মিত কাজ করছে। ওয়ার্ডে ডায়েট চার্ট টাঙানো রয়েছে। তবে কোন রোগীর ক্ষেত্রে কী ডায়েট, তার আলাদা তালিকা শীঘ্রই টাঙানো হবে। প্রয়োজনে ডায়েট বিল খতিয়ে দেখতে পারে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালের অন্ধকার এবং স্যাঁতসেঁতে দু’টি মাত্র ঘরে ১৩ জন রোগীকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ওই ঘরটির অবস্থাও বিপজ্জনক। এই প্রেক্ষিতে সুপার জানিয়েছেন, ওই ঘরগুলি সংস্কারের জন্য আগেই বলা হয়েছিল। সম্প্রতি তার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু করবে পিডব্লিউডি। জবাবি চিঠিতে সুপার এও উল্লেখ করেছেন যে, যেসব রোগী চর্মরোগে আক্রান্ত, তাঁরা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। খাবারের মান নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে গণেশ প্রসাদ জানান, এই ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।