গ্রাফিক
কলকাতার রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশের সার্জেন্টদের হাতেও দেখা যাবে ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করার যন্ত্র। যাতে ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারী গাড়ির চালক কিংবা মালিককে আর নগদ টাকায় জরিমানা দেওয়ার ঝামেলা পোহাতে না হয়। ঘটনাস্থলেই অনলাইনে জরিমানার অঙ্ক জমা দিতে পারবেন লোকজন।
লালবাজার সূত্রে খবর, বহু ক্ষেত্রেই ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে চালক কিংবা গাড়ির মালিককে জরিমানা দিয়ে কাগজপত্র ছাড়াতে ছুটতে হয় ট্র্যাফিক গার্ডে। অনেক ক্ষেত্রে সেই জরিমানার টাকা সময় মতো ট্র্যাফিক গার্ড থেকে সরকারের ঘরে জমা পড়ে না বলেও অভিযোগ। মাস চারেক আগেই কলকাতার একটি ট্র্যাফিক গার্ডের এক পুলিশকর্মী সাসপেন্ড হন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল জরিমানার টাকা নিয়ে দুর্নীতি করার। বিরাট অঙ্কের সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পড়েনি বলে অভিযোগ উঠেছিল।
সেই মামলার তদন্তের সময়েই জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে নগদের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছিল। লালবাজারের কর্তারা মনে করছেন, ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে নগদের পরিমাণ কমে গেলে এমন ধরনের দুর্নীতিও ঠেকানো সম্ভব হবে। তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হল, সাধারণ মানুষ ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে জরিমানার টাকা দিতে পারলে তা সরকারের ঘরেও দ্রুত পৌঁছে যাবে।
কলকাতা পুলিশ জানাচ্ছে, অনলাইনে লেনদেনের জন্য ট্র্যাফিক গার্ডেও ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডে কিংবা পেটিএমে জরিমানা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। চলতি সপ্তাহ থেকেই ওই পরিষেবা চালু করা যাবে বলে জানিয়েছে লালবাজার। প্রথম পর্যায়ে ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডে সোয়াইপ মেশিন থাকবে। ধীরে ধীরে ওই ব্যবস্থা সর্বত্রই চালু হবে। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, পরের ধাপে চলতি মাসেই ট্রাফিক সার্জেন্টদেরও সোয়াইপ মেশিন এবং তাঁদের মোবাইলে ওয়ালেট অ্যাপ ডাউনলোড করে দেওয়া হবে। যাতে ঘটনাস্থলেই আইনভঙ্গের জরিমানা আদায় করে নেওয়া যায়।
বর্তমানে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে গাড়ির মালিকের কাছে মেসেজ পাঠানো হয়। সার্জেন্টদের স্মার্ট ফোনে ‘ই চালান’ নামে এক ধরনের
অ্যাপও রয়েছে। তাতেও জরিমানা অনলাইনে দেওয়া যায়।