(বাঁ দিকে) কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। স্কুটারচালক এবং আততায়ী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
কলকাতার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হল। মহম্মদ আদিল হুসেন নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। রবিবার সকালে আবু ধাবি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামতেই আদিলকে আটক করে অভিবাসন দফতর। এর পরে তাঁকে বিমানবন্দর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রবিবারই আদালতে হাজির করানো হয় ৪৪ বছরের আদিলকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিল আদতে বিহারের জামুইয়ের বাসিন্দা। তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্তকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় তাঁর খোঁজ চলছিল। লুকআউট নোটিসও জারি করা হয়। রবিবার কলকাতা বিমানবন্দরে নামতেই তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই কসবাকাণ্ডে বিহার-যোগের দাবি করে আসছেন তদন্তকারীরা। গত ডিসেম্বর মাসে বিহারের বৈশালী থেকে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত যুবকের নাম ছিল লক্ষ্মণ শর্মা ওরফে ‘ছোটু’। তিনি কলকাতার বাসিন্দা হলেও ধরা পড়েছিলেন বিহার থেকে। তদন্তকারীদের দাবি, কসবাকাণ্ডে ধৃতদের জেরায় ছোটুর নাম উঠে এসেছে। ঘটনার দিন তিনি স্কুটার চালাচ্ছিলেন বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল।
গত ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ির সামনেই সুশান্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করেন এক আততায়ী। আততায়ী স্কুটারে চেপে এসেছিলেন। কিন্তু গুলি না-চলায় প্রাণে বাঁচেন সুশান্ত। পরে স্কুটারচালক পালিয়ে গেলেও সুশান্ত এবং তাঁর অনুগামীরাই ধরে ফেলেন ওই শুটার যুবরাজ সিংহকে। পরে ধরা পড়েন ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ আফরোজ় খান ওরফে গুলজ়ার, আহমেদ আলি নামে এক ট্যাক্সিচালক, ঘটনার ‘অন্যতম মূলচক্রী’ ফুলবাবু এবং আলি। খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল বাজেয়াপ্ত করা হয়। আটক করা হয় স্কুটারটিও। এ বার ধরা পড়লেন আদিল।