প্রতীকী ছবি।
গত নভেম্বরে দমদমের কমলাপুর এলাকায় নির্মীয়মাণ মেট্রো প্রকল্পে তাণ্ডব চালিয়েছিল ১৫ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতীর একটি দল। নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে রেখে, মারধর করে লোহার যন্ত্রাংশ ও কিছু সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় তারা। তদন্তে নেমে ১২ জনকে গ্রেফতার করে দমদম থানার পুলিশ। তার পরে এক মাসও কাটেনি। ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটল বুধবার রাতে, সুভাষনগরের কাছে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পে। সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের ধারালো অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানো ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দমদম থানা। ধৃতের নাম অরবিন্দ দাস।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, ওই রাতে তাঁরা এক ব্যক্তিকে মোটরবাইকে চেপে আসতে দেখেন। অভিযোগ, সে ধারালো অস্ত্র বার করে তাঁদের ভয় দেখায় ও হুমকি দেয়। রক্ষীদের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় ছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েক জন মোবাইলে তার ছবি তুলে রাখেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গোরাবাজার থেকে শুরু করে এইচএমভি পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্প এলাকা ও জেসপ কারখানা জুড়ে মাঝেমধ্যেই এমন ঘটছে। পুলিশ এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে নজরদারি আরও কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। পুলিশের অবশ্য দাবি, ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করায় এমন অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে একাধিক দুষ্কৃতী।
দমদম পুরসভার উপ-মুখ্য প্রশাসক বরুণ নট্ট জানান, এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ-প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, মেট্রো প্রকল্প এলাকার ভিতরেও নজরদারি কঠোর করা প্রয়োজন। তাঁদের মতে, ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধার কারণে এখানে অপরাধ করে সহজেই পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধৃত অরবিন্দ মত্ত অবস্থায় ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, মেট্রো প্রকল্প এলাকায় চুরির ঘটনায় বহিরাগতদের সঙ্গে প্রকল্পের কারও যোগ থাকতে পারে। সে বিষয়ে মেট্রোকে জানানো হয়েছে। তাঁরা নিজেদের মতো করে প্রকল্প এলাকায় নিরাপত্তা-নজরদারির ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।