প্রতীকী ছবি।
দিব্যি ফিটফাট পুলিশের পোশাক। চালচলনে সপ্রতিভ। কথায় কথায় বড় নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে দহরম-মহরমের গল্প। রাজ্য পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) পরিচয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকের কাছ থেকেই টাকা পকেটস্থ করেছিল যুবকটি। তার পরে বেপাত্তা হয়ে যায় সে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ব্যারাকপুরের ব্যস্ত রাস্তায় তাকে দেখে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন এক প্রতারিত। বুধবার সকালের ঘটনা।
সুজিত নাথ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে টিটাগড় থানা। পুলিশ জানিয়েছে, বছর ছেচল্লিশের সুজিতের বাড়ি হুগলির ডানকুনিতে। তার বিরুদ্ধে প্রায় চার লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে। চাকরির আশায় তাকে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, এমন কুড়ি জনের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ।
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা মমতা রায় জানান, বছর দুয়েক আগে তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় সুজিতের। সে নিজেকে টিটাগড় থানার এসআই বলে পরিচয় দেয়। মাস ছয়েক পরে সে জানায়, তাকে ডানকুনি থানায় বদলি করা হয়েছে। তাই সেখানেই থাকতে হচ্ছে তাকে। সেই আলাপের সূত্রে মমতার বাড়িতেও আসে সুজিত। সেখানেই সে জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক অফিসার তার খুব কাছের। সে নিজেও এক সময়ে রাজ্যের এক তৃণমূল নেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল।
এর পরে সুজিত দাবি করে, পরিচিতির সুবাদে সে কলকাতা পুলিশে কয়েক জনের চাকরি করে দিতে পারবে। তবে তার জন্য পরিচিত ওই অফিসারকে টাকা দিতে হবে। মমতা বলেন ‘‘আমি বলেছিলাম, আমার যা বয়স, তাতে চাকরি হবে না। শুনে সুজিত বলেছিল, খুঁটির জোরে সে সব পারে। এই বলে দু’দফায় আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেয়।’’ সুজিতের কথা মতো
মমতা আরও কয়েক জনকে চাকরির কথা বলেন। সে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে টাকা নিয়ে আসে।
টাকা দিয়েও চাকরি পাননি কেউ। ফোন ধরাও বন্ধ করে দিয়েছিল সুজিত। বুধবার সকালে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে সুজিতকে দেখেন মমতার স্বামী। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে পুলিশে খবর দেন তিনি।