প্রতীকী ছবি।
বয়স সত্তর ছাড়িয়েছে। অশক্ত শরীরে থানায় যেতে পারেন না। পাসপোর্ট নবীকরণের জন্য পুলিশ তাঁকে হয়রান করছে। বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। কাজ হল দিদিকে জানিয়ে। অবশেষে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে সেই কাজ করে দিয়েছে।
দমদমের বেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা সুনীলকুমার মজুমদার জানান, তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেটি নবীকরণ করতে না পারলে সমস্যায় পড়তে হত তাঁকে। পাসপোর্ট অফিসের কাজ শেষ হলেও পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভোগান্তি হচ্ছিল তাঁর। অভিযোগ, দমদম থানার পুলিশ তাঁকে হয়রান করছিল। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে জানিয়েছিলাম, বারবার থানায় যেতে পারব না। তারা বাড়ি এসে যাচাই করলে ভাল হয়।’’ তাঁর দাবি, পুলিশ নানা বাহানায় অপ্রয়োজনীয় নথি চেয়ে তাঁকে হয়রান করছে।
দিন পাঁচেক আগে তিনি বিষয়টি ‘দিদিকে বলো’ বিজ্ঞাপনে দেওয়া নম্বরে জানান। ই-মেলও করেন। তিনি জানান, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দমদম থানার পুলিশ তাঁর বাড়ি গিয়ে ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পূর্ণ করেছে। রবিবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বেদিয়াপাড়ায় এসেছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাঁচ জন প্রবীণকে ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই সুনীলবাবু বিষয়টি জানান। ব্রাত্য বলেন, ‘‘তেমন কোনও সমস্যা থাকলে তাঁকে যেন জানান নাগরিকেরা।’’ মন্ত্রী জানান, যে পাঁচ জনকে ডাকা হয়েছিল, তাঁদের বেছেছেন দলের লোকেরাই। নেতাদের যেখানে স্থানীয়দের কাছে সরাসরি পৌঁছতে বলা হচ্ছে, সেখানে দলের লোকের ঠিক করে দেওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলে কতটা লাভ হবে, প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারাই।