পিপিই ছাড়াই বৃদ্ধকে গাড়িতে তুলছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
ফুটপাতে পড়ে হাঁফাচ্ছেন অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধ। শরীরে ফুটে উঠেছে অস্বস্তির আরও নানা লক্ষণ। কিন্তু করোনা সন্দেহে তাঁকে সাহায্য করার এগিয়ে এল না কেউ। এ ছবি খাস কলকাতার বেহালায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য খবর দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরে। কিন্তু বহুক্ষণ অপেক্ষা করেও অ্যাম্বুল্যান্সের দেখা মেলেনি। সকাল থেকে অপেক্ষার পর, দুপুরে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসে বেহালা থানার পুলিশই। কিন্তু পিপিই ছাড়া, খালি হাতেই ওই বৃদ্ধকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। পুলিশের এমন ভূমিকা যেমন প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে, তেমনই সাবধানতা অবলম্বন না করা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে।
সাতসকালে অন্য দিনের মতোই লোক চলাচল শুরু হয়েছিল বেহালার রায়বাহাদুর রোডে। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান ফুটপাতে শুয়ে রয়েছেন এক সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ। তিনি যে অসুস্থ তা দেখেই বুঝতে পারেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধ শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাঁর মুখ দিয়ে লালাও ঝরছিল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ফুটপাতে এমন দৃশ্যে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি দেখে ওই বৃদ্ধকে সাহায্যের জন্য কেউই এগিয়ে যাননি।
বেগতিক দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বেহালা থানায় খবর দেন। থানা থেকে খবর দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরকে। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও স্বাস্থ্য দফতরের অ্যাম্বুল্যান্সের দেখা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত দুপুর ১টা ১০ নাগাদ বেহালা থানার পুলিশই ওই অসুস্থ বৃদ্ধকে গাড়িতে তুলে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে এ দিন পুলিশ পিপিই ছাড়াই ওই বৃদ্ধকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পুলিশ এই সাবধানতা না নেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রাস্তায় বসে রয়েছেন অসুস্থ বৃদ্ধ। নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: গলহৌতের রাজভবন যাত্রার পর আস্থাভোট জল্পনা রাজস্থানে
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধ এলাকারই একটি বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। সম্প্রতি তিনি সেই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দেন। এ দিন সকালে তাঁকে ওই অবস্থায় হঠাৎ ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি, ভেসে গেল জলের তোড়ে