ক্যাফেতেই যেন ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামের পরিবেশ

ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল দেখতে ক্যাফেতে জড়ো হয়েছিলেন জনা আঠাশ তরুণ-তরুণী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলে মিলে গড়ে তুলেছেন ‘ক্রিকেট লাভার্স’ গ্রুপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০০:৪৩
Share:

নিউজিল্যান্ডের উইকেট-পতনে উল্লাস ভারতীয় সমর্থকদের।

যুজবেন্দ্র চহ্বালের বলে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আউট হতেই উল্লাসে ফেটে পড়লেন ক্যাফেতে থাকা দর্শকেরা। দু’হাত তুলে শুরু হয়ে গেল নাচ। সাগরপারের ম্যানচেস্টারে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামেও তখন উচ্ছ্বাস বাঁধ মানছে না ভারতীয় সমর্থকদের। এক দিকে ক্যাফেতে দর্শকদের গর্জন, অন্য দিকে টিভির পর্দায় উল্লাস— দুইয়ে মিলে শরৎ বসু রোডের ছোট্ট আলো-আঁধারি ক্যাফে এবং ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়াম তখন যেন একাকার।

Advertisement

ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল দেখতে ক্যাফেতে জড়ো হয়েছিলেন জনা আঠাশ তরুণ-তরুণী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলে মিলে গড়ে তুলেছেন ‘ক্রিকেট লাভার্স’ গ্রুপ। তাঁদেরই এক জন, কলেজপড়ুয়া রূপসা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাড়িতে বসে তো খেলা দেখতেই পারতাম। কিন্তু একসঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গে এ ভাবে খেলা দেখার আনন্দই আলাদা। তার উপরে সেমিফাইনাল। মনে হচ্ছে যেন স্টেডিয়ামে বসেই খেলা দেখছি।’’

ওই তরুণী যে কথাটা খুব ভুল বলেননি, তা মালুম হল ক্যাফে ঘুরেই। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার জন্য দর্শকেরা যা নিয়ে যান, তার প্রায় সব উপকরণই হাজির সেখানে। রয়েছে বিরাট কোহালি-সহ ভারতীয় খেলোয়াড়দের ছবি থেকে শুরু করে বিশাল তেরঙা। সমর্থকেরা পরে আছেন ভারতীয় জার্সি। গায়ে জড়ানো জাতীয় পতাকা।

Advertisement

শুধু খেলা দেখা নয়। ওই হুকা ক্যাফেতে উপরি পাওনা ছিল রকমারি খাওয়াদাওয়া। শুভজিৎ দাস নামে এক যুবক বলেন, ‘‘ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে থাকছে বেবি কর্ন, এগ ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন ও ব্রাউনি। খেলা দেখা ও খাওয়া মিলিয়ে ৪০০ টাকা খরচ।’’ শুধু কলকাতার ছেলেমেয়েরাই নন, দুর্গাপুর থেকে খেলা দেখতে চলে এসেছেন রোহিত সরকার। বললেন, ‘‘ক্রিকেট পাগল এই গ্রুপের বন্ধুদের সঙ্গে কত দিন পরে দেখা হল। গল্পও জমে উঠল দারুণ।’’

শুধু ক্যাফেতে নয়, শহরের অনেক শপিং মল কর্তৃপক্ষও বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিং মলে গিয়ে দেখা গেল, জিনিস কেনার ফাঁকে অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়েছেন। চোখ আটকে জায়ান্ট স্ক্রিনে। বাংলাদেশ থেকে আসা একটি পরিবারও ওই শপিং মলে মুগ্ধ হয়ে খেলা দেখছিল। তাদের এক জন সজীব শেখ বলেন, ‘‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমরা ক্রিকেট পাগল। ঢাকা শহরেও এমন করে খেলা দেখানোর চল রয়েছে। রাস্তায়, পার্কে, শপিং মলে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হয়।’’

তবে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শেষ দিকে বৃষ্টি শুরু হতে খানিকটা তাল কাটে উল্লাসে। বেশ কিছু ক্ষণ পরেও খেলা শুরু না হওয়ায় দর্শকেরা বাড়ির পথ ধরতে শুরু করেন। ওই মলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপনারায়ণ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ভারত ফাইনালে উঠলে গোটা শপিং মল জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement