ক্যানসার আক্রান্তের পাশে দাঁড়াতে নববর্ষে ছবি আঁকলেন সনাতন। — নিজস্ব চিত্র।
বাকি বাচ্চাদের সঙ্গে ছোট্ট মেয়েটির পার্থক্য সাদা চোখে বোঝা কঠিন। বয়স ৯ বছর। তার শরীরে দানা বেঁধেছে মারণ ক্যানসার। চলছে কেমো থেরাপি। কিন্তু মুদিখানার ব্যবসায়ী পরিবারের পক্ষে মেয়ের ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালানো সহজ নয়। এলাকার অনেকেই নিজের সাধ্য মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাংলা নববর্ষে ছোট্ট মেয়েটির পাশে দাঁড়াতে অন্য রকম ভাবে উদ্যোগী রাজারহাটের একটি ক্লাব। উদ্যোগের নাম, ‘তুলির টানে স্নেহের স্পর্শ, নতুন রূপে নববর্ষ’। শনিবার, বিকালে ক্লাব প্রাঙ্গণে ‘লাইভ পেইন্টিং’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। শিল্পীদের আঁকা ছবি বিক্রি করে সংগৃহীত অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে নাবালিকার পরিবারের হাতে।
ওই উদ্যোগে শামিল হয়েছিলেন বেহালা আর্ট ফেস্টিভ্যালের পুরোধা শিল্পী সনাতন দিন্দা। সঙ্গে তাঁর টিম। সনাতন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জীবনে এতগুলো নববর্ষ কাটালাম। কিন্তু আজ আমার জীবন সার্থক মনে হচ্ছে। আজকে আক্ষরিক অর্থেই শিল্প মানুষের প্রয়োজনে কাজে এল।’’
শুরু থেকে পুরো আয়োজনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনীতির মানুষ। তবে এটা কোনও রাজনীতির লড়াই নয়। রাজারহাটের মানুষের সঙ্গে ক্যানসারের লড়াই। ক্যানসারকে হারাব এবং বাচ্চাটিকে বাঁচাব এটাই আমাদের লক্ষ্য।’’
শনিবার সনাতন-সহ মোট ১০ জন শিল্পী ছবি এঁকেছেন। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে ছোট্ট মেয়েটি এবং তার অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ছবি বিক্রি করে সংগৃহীত অর্থ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। লাইভ পেইন্টিং-এর পর শিল্পী মধুরা ভট্টাচার্য সঙ্গীত পরিবেশন করেন।