ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনস্থল। — ফাইল চিত্র।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন কর্মসূচিতে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে শহরের এক হোটেল কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাংবাদিক সম্মেলন ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চের অদূরেই ওই হোটেলের অবস্থান। সেখানকার কনফারেন্স রুম বুক করে সাংবাদিক সম্মেলনের পরিকল্পনা করেছিলেন শহরের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আরজি কর আন্দোলন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির প্রতি সহমর্মিতা জানানোর পাশাপাশি আগামী দিনের ‘আংশিক কর্মবিরতি’-সহ কিছু কর্মসূচি ঘোষণারও পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
চিকিৎসক সৌরভ যশ জানিয়েছেন, শনিবারের জন্য ওই হোটেলের কনফারেন্স রুম বুকিং করতে প্রাথমিক ভাবে কথা বলেছিলেন তাঁরা। হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছিল। কিন্তু গোল বাধে বুকিংয়ের জন্য টাকা দিতে গেলে। সৌরভ বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে হোটেলের ম্যানেজমেন্ট সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু বুকিং ফি জমা দিতে গেলে হোটেল ম্যানেজমেন্টের এক আধিকারিক হাতজোড় করে বলেন, ‘আমরা কোনও সাহায্য করতে পারব না’। আমরা প্রশ্ন করি কেন? তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিশের তরফে কঠোর ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, আন্দোলন সম্পর্কিত কোনও রকম প্রোগ্রাম হোটেলে করা যাবে না।’’’
আরজি কর নিয়ে চিকিৎসকদের আন্দোলনকে ‘দমন’ করার উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুলিশ এই পথ নিয়েছে বলে অভিযোগ সৌরভের। যদিও ওই হোটেলের তরফে প্রদীপ্ত ভাস্কর বলেন, ‘‘এ রকম কোনও বুকিংয়ের বিষয় আমাদের জানা নেই৷ আমরা এ রকম বুকিং পাইনি। তা ছাড়া, পুজোর সময়ে আমাদের রেস্টুরেন্টে চাপ থাকে। তাই অন্যান্য অংশকেও আমরা রেস্টুরেন্ট হিসেবে ব্যবহার করি। তবে নির্দিষ্ট এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই৷’’
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেল ৫টায় ধর্মতলার অনশনমঞ্চে শহরের ৩০টি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা ‘ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনস’ (ফেমা)-এর তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন। সেখানে আগামী ১৪ এবং ১৫ অক্টোবরের ‘আংশিক কর্মবিরতি’ কর্মসূচির কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে চিকিৎসকদের একটি অংশ জানিয়েছেন।