উদ্ধব ঠাকরে (বাঁ দিকে) এবং একনাথ শিন্ডে (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
মুম্বইয়ে আবার দশেরা উৎসবের লড়াইয়ে উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার দুই শিবির। দলের ৫৮ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার। শনিবার রীতি মেনেই প্রয়াত পিতা বালাসাহেব ঠাকরের দশেরা পালনের স্থান শিবাজি পার্কে থাকবেন শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা উদ্ধব। অন্য দিকে, গত দু’বারের মতোই মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে যোগ দেবেন দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে দশেরা উৎসবে।
শিবসেনা বিধায়কদের বড় অংশের বিদ্রোহের জেরে উদ্ধব ২০২২ সালের ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন। এর পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শিন্ডে গোষ্ঠীর কাছে খুইয়েছেন ‘শিবসেনা’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘তিরধনুক’। কিন্তু এখনও শিবাজি পার্কে দশেরা আয়োজক তাঁরই গোষ্ঠী। ২০২২ সালে বম্বে হাই কোর্টের নির্দেশে প্রয়াত বালাসাহেব প্রতিষ্ঠিত এই দশেরা উৎসবের নিয়ন্ত্রণ পান তিনি। গত দু’বছরে জমায়েতের নিরিখেও উদ্ধব টেক্কা দিয়েছেন শিন্ডেকে।
চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। বৃহন্মুম্বই পুরসভার ভোটও হতে পারে। তার আগে শিবসেনার যুযুধান দুই গোষ্ঠীর শক্তিপ্রদর্শনের ক্ষেত্র হিসাবে দশেরা উৎসবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হলেও দেশের বৃহত্তম পুরসভা বৃহন্মুম্বইয়ের নিয়ন্ত্রণ এখনও উদ্ধব শিবিরের হাতে রয়েছে।
তা ছাড়া, চলতি বছরের লোকসভা ভোটের হিসাবেও এগিয়ে রয়েছেন বালাসাহেব-পুত্র। কংগ্রেস এবং এনসিপি (শরদ পওয়ার)-এর সঙ্গে জোট করে তাঁর দল জিতেছে ন’টি আসনে। পেয়েছে সাড়ে ১৬ শতাংশের বেশি ভোট। সামগ্রিক ভাবে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিরোধী জোট মহাবিকাশ অঘাড়ীর দখলে গিয়েছে ৩০টি। পরে এক নির্দল সাংসদও যোগ দেন কংগ্রেসে। অন্য দিকে, শিন্ডেসেনা জিতেছে সাতটি আসনে। পেয়েছে ১৩ শতাংশেরও কম ভোট। সামগ্রিক ভাবে বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত পওয়ার)-কে নিয়ে গঠিত ‘মহাজুটি’র দখলে ১৭টি লোকসভা আসন।