প্রতীকী ছবি।
রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের বাসিন্দা সইফ খানের (৩৮) খুনের ঘটনায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম থানার পুলিশ। বুধবার দুপুরে জামতাড়া-মিহিজাম জাতীয় সড়ক লাগোয়া জঙ্গল থেকে ওই যুবকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি যে খুন, সে ব্যাপারে নিঃসংশয় হলেও মিহিজাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, কে বা কারা এতে জড়িত, তা জানা যায়নি।
এ দিকে, নিহত যুবকের বাড়ির লোকজনকে বৃহস্পতিবার রাতে ডেকে পাঠিয়েছিল নিউ মার্কেট থানা। সইফের দাদা কায়েশ খান শুক্রবার বলেন, ‘‘পুলিশ আমাদের কাছ থেকে বেশ কিছু বিষয় জেনেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কাউকে কিছু জানাতে নিষেধ করেছে।’’ খুনের ঘটনার মূল তদন্ত মিহিজাম থানা করলেও লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখাও বিষয়টি দেখছে। যে ভাবে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে, তা দেখে পুলিশের অনুমান, এটা ভাড়াটে খুনির কাজ। লালবাজারের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যে যুবক নিজের বাড়িতে ছিলেন, পরের দিনই দুপুরে তাঁর গলা কাটা দেহ পাওয়া গেল ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে। খুবই রহস্যময় ঘটনা।’’ এ দিন মিহিজাম থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। খুব শীঘ্রই মিহিজামের তদন্তকারীরা এ শহরে আসবেন।
কায়েশ বাদে নিহতের পরিবারের বাকিরা অবশ্য এ দিনও কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। কায়েশ বলেন, ‘‘আগামী কাল ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ হবে। ভাই যে এ ভাবে অকালে চলে যাবে, তা ভাবতেও পারিনি। শুধু একটা কথাই বলব, ওর খুনিদের কঠোর সাজা হোক।’’
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ওয়েলেসলি পার্ক সেকেন্ড লেনে নিজের স্কুটারটি রেখে বেপাত্তা হয়ে যান সইফ। তাঁর পরিবারের দাবি, শহরের বিভিন্ন রাস্তার ওই রাতের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখুক পুলিশ। তা হলে কোনও সূত্র মিললেও মিলতে পারে।
পরিবারের সদস্যেরা জানান, সইফের দেহ উদ্ধারের সময়ে তাঁর ট্রাউজ়ার্সের পকেট থেকে স্কুটারের চাবি আর হাতঘড়ি মিললেও মোবাইলটা পাওয়া যায়নি। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতেই দুষ্কৃতীরা সেটি নিয়ে যায় বলে পুলিশের অনুমান। সইফ পেশায় প্রোমোটার ছিলেন। বাজারে তাঁর মোটা টাকা ঋণ ছিল বলে জানতে পেরেছে মিহিজাম থানার পুলিশ। তবে বাড়ির লোকজন এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।