ছবি সংগৃহীত।
নিউ টাউনে থানা রয়েছে তিনটি। সেই সব থানার আওতায় বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকাও রয়েছে। এ বার ঠিক হয়েছে, ওই তিনটি থানার সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি মানচিত্র তৈরি করা হবে। মানচিত্র তৈরির জন্য ভূমি-সমীক্ষা করতে একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে হিডকো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
আগে নিউ টাউন থানার মাধ্যমেই গোটা নিউ টাউনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা হত। কিন্তু এলাকার আয়তন ও জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ইকো পার্ক ও টেকনো সিটি নামে আরও দু’টি থানা তৈরি করা হয়। হিডকো সূত্রের খবর, তাদের প্রকল্প এলাকার বাইরেও নিউ টাউনে বেশ কিছু মৌজা রয়েছে। কোন এলাকা কোন থানার আওতায়, তা ঠিক করা থাকলেও একটি মানচিত্রের খুব প্রয়োজন। না-হলে পরবর্তী কালে সমস্যা হতে পারে। পাসপোর্ট যাচাই থেকে শুরু করে অভিযোগ জানানো-সহ বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হতে পারেন বাসিন্দারাও। সেই কারণেই একটি মানচিত্র তৈরির জন্য হিডকোকে অনুরোধ করে পুলিশ-প্রশাসন।
হিডকো সূত্রের খবর, একটি সংস্থাকে দিয়ে ভূমি-সমীক্ষার পরে মানচিত্র তৈরির কাজ শুরু হবে। ছ’মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ওই তিনটি থানার আশপাশে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বাগুইআটি, নারায়ণপুর, রাজারহাট থানা এবং কলকাতা পুলিশের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা রয়েছে। ফলে এই মানচিত্র তৈরি হলে সকলেরই সুবিধা হবে বলে মনে করছেন হিডকো কর্তৃপক্ষ।
নিউ টাউনের বাসিন্দাদের একাংশের মতে, মানচিত্র তৈরি হলে কার বাড়ি কোন থানা এলাকায় পড়ছে, তা বুঝতে সকলেরই সুবিধা হবে। হিডকোর এক কর্তার কথায়, ‘‘ভূমি-সমীক্ষার মাধ্যমে সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ হচ্ছে। প্রশাসন এবং বাসিন্দা, মানচিত্র তৈরি হলে সকলেরই সুবিধা হবে।’’