Nabanna Abhiyan

নবান্ন অভিযানে আহত পুলিশ সার্জেন্টকে দেখতে গেলেন কলকাতার সিপি, আঘাত লেগেছিল চোখে

গত ২৭ অগস্ট ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানে কর্তব্যরত ছিলেন ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসা ইট তাঁর চোখে লাগে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২৩
Share:

(বাঁ দিকে) আহত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা (ডান দিকে)।

নবান্ন অভিযানে ইটের ঘায়ে জখম হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। রবিবার হাওড়ার বাউড়িয়ায় তাঁর বাড়িতে গেলেন কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার (সিপি) মনোজ বর্মা। আহত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। মনোজের সঙ্গে ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া, কলকাতা পুলিশের ডিসি (পূর্ব) আরিশ বিলাল এবং অন্য পুলিশ আধিকারিকেরা। আহত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার পর সিপি বলেন, “উনি সুস্থ হচ্ছেন। আশা করছি খুব দ্রুত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন।”

Advertisement

গত ২৭ অগস্ট ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানে কর্তব্যরত ছিলেন দেবাশিস। স্ট্র্যান্ড রোডে তাঁর ডিউটি ছিল। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। সেই গাড়িতেই ছিলেন দেবাশিস। তাঁর চোখে একটি ইট লাগে। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত ঝরতে থাকে চোখ থেকে। ইটের আঘাতে ওই গাড়িতে থাকা আরও কয়েক জন জখম হন। ওই ঘটনায় ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার।

হাসপাতাল থেকে ভিডিয়োবার্তায় দেবাশিস বলেছিলেন, ‘‘আচমকা ইটবৃষ্টি শুরু হয়। প্রথম ইটটাই আমার চোখে এসে লাগে। অঝোরে রক্ত ঝরছিল। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বাঁ চোখে এখন দেখতে পাচ্ছি না। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না।’’ নবান্ন অভিযানে কলকাতা পুলিশের দেবাশিস ছাড়াও কলকাতা পুলিশের একাধিক সার্জেন্ট আহত হন। অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল।

Advertisement

দেবাশিসকে প্রথমে ভর্তি করানো হয়েছিল কলকাতার মুকুন্দপুরের একটি হাসপাতালে। কিন্তু তাঁর চোখের আঘাত গুরুতর হওয়ায় দেবাশিস দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। তার পর উন্নততর চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হায়দরাবাদে। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। তবে এখনও বাড়িতে চিকিৎসা চলছে তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement