আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দু’টি পুরসভাতেই বোর্ড গঠিত হবে। সূত্রের খবর, তাতে চেয়ারম্যান পারিষদ পদে নতুন মুখের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কার ভাগ্যে সেই শিঁকে ছিঁড়বে, তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা।
ফাইল চিত্র।
‘‘আমাদের কিন্তু বিরিয়ানি খাওয়াতে হবে’’— এ নিয়ে তিন বারের চেয়ারম্যানের কাছে আবদার মহিলা কাউন্সিলরদের। যা দেখে নির্দল কাউন্সিলরেরাও উঠে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে জানতে চাইলেন, তাঁরাও স্বাদের ভাগ পাবেন কি না। কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহার উত্তর, ‘‘আমরা সকলেই একটি পরিবার। একসঙ্গে কামারহাটির উন্নয়নে কাজ করব, খাওয়াদাওয়া করব। একসঙ্গেই থাকব।’’
মঙ্গলবার কামারহাটি পুরসভায় ছিল শপথ গ্রহণ। ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে তিনটি নির্দল ও একটি সিপিএম জিতেছে। এ দিন শপথ গ্রহণের পরে কাউন্সিলরেরা বৈঠকে বসেন। সেখানেই গোপাল সাহার নাম চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পরেই সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন তিনি। এ-ও জানিয়ে দেন, কাজ না করলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। তিনি বলেন, ‘‘কাজের বিচারের জন্য কাগজ-কলমের মার্কশিট না থাকলেও সব কিছুতে নজর রাখা হবে।’’ পার্শ্ববর্তী পুরসভা বরাহনগরে এ দিন শপথের পরেই চেয়ারম্যান হিসেবে অপর্ণা মৌলিক ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দিলীপনারায়ণ বসুর নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কামারহাটির ক্ষেত্রে বিকেলে ভাইস চেয়ারম্যান তুষার চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষিত হয়।
দেরি হল কেন? গোপালের দাবি, ‘‘দলের তরফে নির্দেশ না এলে ঘোষণা করা যায় না। সেটা আসতে দেরি হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরও কয়েক জন দাবিদার ছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্ব চিন্তাভাবনা করে তবেই ঘোষণা করেছেন। বিধায়ক মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ তুষার এ নিয়ে দ্বিতীয় বার ভাইস চেয়ারম্যান হলেন। তিনি বলেন, ‘‘নিকাশির উন্নয়নে জোর দিতে হবে। কামারহাটিতে অনেক সংখ্যালঘু ওয়ার্ড রয়েছে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের সহযোগিতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।’’ আবার বি টি রোডের ধার থেকে পার্কিং সরানো ও ডেঙ্গি মোকাবিলার পাশাপাশি নতুন জল প্রকল্প তাড়াতাড়ি চালুর কথা জানান গোপাল।
অন্য দিকে, নির্বাচনের আগেও ‘জল’ কাঁটায় বিদ্ধ ছিল বরাহনগর। বৃষ্টির জমা জল ও পানীয় জলের সমস্যা কবে মিটবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এ দিন তৃতীয় বারের জন্য বরাহনগরের চেয়ারম্যান হওয়া অপর্ণা মৌলিক ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ দিলীপনারায়ণ বসু, দু’জনেই জোর দিলেন নিকাশি ও পানীয় জলে। দিলীপনারায়ণ বলেন, ‘‘পুরসভার অনেকগুলি নিজস্ব বাজার রয়েছে। সেগুলি মার্কেট কমপ্লেক্স করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ বরাহনগরে ৩৪টির মধ্যে দু’টি ওয়ার্ডে (২২ ও ৩৪ নম্বর) এ বার জিতেছে সিপিএম। তবে ওই দুই জয়ী প্রার্থী এ দিন শপথ অনুষ্ঠানে আসেননি। তাঁরা পরে মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে শপথ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। অপর্ণা অবশ্য সকলকে নিয়েই সার্বিক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দু’টি পুরসভাতেই বোর্ড গঠিত হবে। সূত্রের খবর, তাতে চেয়ারম্যান পারিষদ পদে নতুন মুখের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কার ভাগ্যে সেই শিঁকে ছিঁড়বে, তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা।