—প্রতীকী ছবি।
দিল্লিতে তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। তাই কলকাতায় পালিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত। তবে শেষরক্ষা হল না। রবিবার রাতে উত্তর বন্দর থানার বাবুঘাট এলাকায় বাস থেকে নামতেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। এই কাজে দিল্লি পুলিশকে সাহায্য করেছে কলকাতা পুলিশ। ধৃতের নাম মোহিত গহলৌত। ধৃতের কাছ থেকে পাঁচটি গুলি ভরা একটি চিনা রিভলভার উদ্ধার হয়েছে। সেই কারণে মোহিতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের করছে কলকাতা পুলিশ। সোমবার মোহিতকে ১৬ মে পর্যন্ত ট্রানজ়িট রিমান্ডে দিল্লি পাঠিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। অস্ত্র আইনের মামলায় তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর।
লালবাজার সূত্রের খবর, দিল্লির একটি তোলাবাজ দলের সদস্য মোহিত। অভিযোগ, গত ৬ মে দিল্লির তিলকনগর থানা এলাকার একটি গাড়ির শোরুমের মালিকের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তোলা দাবি করে মোহিত-সহ চার জন। মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করায় চার জনের ওই দলটি তাঁকে নিশানা করে গুলি চালায়। মালিক বেঁচে গেলেও গুলিতে জখম হন শোরুমের চার কর্মী। এই ঘটনায় খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ। এক অভিযুক্ত কেতন কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে তারা। তাকে জেরা করে দিল্লি পুলিশজানতে পারে, মোহিত কলকাতায় পালিয়েছে। এর পরেই কলকাতা পুলিশকে জানায় দিল্লি পুলিশ। লালবাজারের খবর, দিল্লি থেকে বাস বদলে বদলে কলকাতায় আসছিল মোহিত। কলকাতা পুলিশকে সেই কথা জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। রবিবার রাতে বাবুঘাট এলাকায় বাস থেকে নামতেই মোহিতকে গ্রেফতার করে পুলিশের যৌথ দল।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিও লুকিয়ে ছিল কলকাতায়। পরে তাদের নিউ দিঘা থেকে ধরে এনআইএ। মোহিতও লুকিয়ে থাকার জন্য বেছেছিল কলকাতাকে। তাই কলকাতা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।