—প্রতীকী ছবি
এসএমএস পাঠিয়ে বলা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহকের মোবাইল সংযোগ বন্ধ হবে। সেই বার্তা পেয়ে যোগাযোগ করেন গ্রাহক। সমাধান দুর অস্ত্, উল্টে ওই গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা লোপাট হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি এমন অবস্থার শিকার হয়েছেন ‘সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’-এর অধ্যাপিকা শম্পা বিশ্বাস। তিনি বিধাননগর পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি জানান, চলতি মাসের ১৩ তারিখে তাঁর কাছে একটি এসএমএস আসে। বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর মোবাইল সংযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। যোগাযোগের জন্য টেলিকম সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর হিসেবে সংশ্লিষ্ট মোবাইল নম্বর ৯৮৮৩৭৭৮৭১৫ দেওয়া হয়।
নির্দেশ মতো তিনি ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রথমে তাঁকে ১০ টাকার বিনিময়ে কেওয়াইসি আপডেট করতে বলা হয়। গ্রাহককে ‘টিম ভিউয়ার কুইক সাপোর্ট’ নামে একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে বলা হয়। সেটি করার পরে তাঁকে একটি অ্যাপে ১০ টাকা দিতে বলা হয়। গ্রাহক নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেন। তখন সেই টাকা ফেরত দিয়ে তাঁকে বলা হয়, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিতে। এর পরেও ফের ফোনে তাঁকে আরও একটি উপায়ে টাকা দিতে বলা হয়। ফোন চলাকালীন নির্দেশ মতো তিনি টাকা দেন। ফোন কাটার পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লক্ষ ৭ হাজার টাকা সরানো হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনও ওটিপি বা এসএমএস পাননি বলেই দাবি অধ্যাপিকার।
তৎক্ষণাৎ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি কার্ড এবং নেট ব্যাঙ্কিং বন্ধ করেন। পরে তিনি বিধাননগর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। গত ১৫ জানুয়ারি ওই একই মোবাইল নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফের ফোন আসে। একই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে কথা বলেন বলে দাবি অভিযোগকারিণীর। তিনি বিধাননগর পুলিশের কাছে এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ ধরনের এসএমএস বা ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করে তথ্য জেনে টাকা হাতানোর ঘটনা আকছার ঘটছে। মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চলছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষ সচেতন না হলে কোন ভাবেই এ ধরনের প্রতারণায় রাশ টানা যাবে না।