ফাইল ছবি
গত মঙ্গলবার নোয়াপাড়া স্টেশনে দক্ষিণেশ্বরগামী একটি মেট্রো থামা সত্ত্বেও সেটির দরজা না খোলার ঘটনায় ওই ট্রেনের চালক এবং সহকারী চালক তথা গার্ডের বক্তব্য জানতে চেয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘটনার সময়ে প্যানেল অপারেটর, বোর্ড কন্ট্রোলার এবং প্ল্যাটফর্মে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের কার, কী ভূমিকা ছিল, সেই বয়ান লিখিত আকারে নেওয়া হয়েছে বলেও মেট্রো সূত্রে খবর।
সাধারণত কোনও মেট্রো স্টেশনে ট্রেন এসে থামলে যাত্রীদের ওঠানামার বিষয়টি লক্ষ রাখার কথা গার্ড তথা সহকারী চালকের। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে সম্পূর্ণ ঢুকে থামলে গার্ড এক বার ঘণ্টা বাজিয়ে সঙ্কেত দেন। উল্টো দিক থেকে চালকও সেই সঙ্কেত শুনে ঘণ্টা বাজান। আবার, ট্রেন ছাড়ার আগে চালক এবং গার্ডের মধ্যে দু’বার করে ঘণ্টা বাজিয়ে সঙ্কেত বিনিময় হয়। এ ছাড়াও কোনও সমস্যা হলে নিজেদের মধ্যে কথা বলার জন্য চালক ও সহকারী চালকের হাতে ওয়াকিটকি থাকে। মঙ্গলবার ঠিক কী ঘটেছিল, তা দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রোর চালক এবং গার্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। ট্রেনের দরজা না খোলার ঘটনা কি দু’জনেরই চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল? না কি, যান্ত্রিক সমস্যায় তা খোলা যায়নি? জানতে চাওয়া হয়েছে সেটাও।
ওই ট্রেনটি নোয়াপাড়া থেকে ৭টা ২৯ মিনিটে ছেড়ে ৭টা ৪১ মিনিটে বরাহনগর পৌঁছয়। মাত্র মিনিট চারেকের দূরত্ব যেতে কেন প্রায় ১১ মিনিট লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নোয়াপাড়া স্টেশনে মেট্রোর দরজা না খোলায় যাত্রীদের একাংশ ট্রেনের চেন টেনেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই সময়ে ট্রেন থেমে গিয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট কামরার যাত্রীদের সঙ্গে চালকের মাইক্রোফোনে কথা বলার নিয়ম রয়েছে। চালক সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। কর্তব্যে গাফিলতি, না কি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সময় মতো দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি, সব দিক দেখে তদন্ত কমিটি তার রায় জানাবে।