ছবি: সংগৃহীত
মাসখানেক আগে মহাত্মা গাঁধী রোড স্টেশনের সুড়ঙ্গ দিয়ে গিরিশ পার্কের দিকে দৌড় লাগিয়েছিলেন এক যাত্রী। তার পরে কবি সুভাষ ও শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে ফের যাত্রীদের লাইনে নেমে পড়ার ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে অন্তত দু’টি ঘটনায় অভিযুক্তদের নাগাল পাননি মেট্রোর কর্মীরা। ট্রেন বন্ধ করে দিয়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজ চালাতে হয়েছে। পরিষেবা বন্ধের জেরে ভোগান্তি হয়েছে অন্য যাত্রীদেরও।
পরপর এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের একাংশের এই প্রবণতা ঠেকাতে এ বার বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাঁরা। মেট্রো রেলের মুখ্য সুরক্ষা আধিকারিক তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, স্টেশনগুলির নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার পাশাপাশি মেট্রোকর্মীদেরও সচেতন হতে হবে। যাত্রীদের এমন অনুপ্রবেশ মেট্রো চলাচলের পক্ষে বিপজ্জনক।
মেট্রো সূত্রের খবর, প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন ইস্পাতের গেটের স্বল্প উচ্চতার সুযোগ নিয়েই মাঝেমধ্যে যাত্রীরা এই ধরনের কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। সে জন্য অবিলম্বে ওই সব গেটের উচ্চতা বাড়ানোর পাশাপাশি তা আরও পোক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে ওই গেট চট করে টপকানো না যায়। গেট এবং প্ল্যাটফর্মের প্রান্তের মধ্যে যাতে কোনও পরিসর উন্মুক্ত না থাকে, তা-ও দেখার কথা বলা হয়েছে।
এই সমস্ত ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই ইয়ার্ডগুলির নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার কাজ শুরু হয়েছে। মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন সংলগ্ন ইয়ার্ডে উঁচু দেওয়ালের উপরে ইতিমধ্যেই কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে দমদম, কবি সুভাষ এবং নোয়াপাড়া ইয়ার্ডেও।
কোনও যাত্রীর কাছে যথাযথ টোকেন না থাকলে তাঁকে জরিমানা করা বা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অযথা উত্তেজনা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। কোনও ভাবেই অভিযুক্ত যাত্রী যাতে আতঙ্কিত হয়ে বিপজ্জনক কিছু করে না বসেন, তা দেখতে বলা হয়েছে। এর জন্য মেট্রোকর্মী এবং রেলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ কর্মসূচিও নেওয়া হবে বলে খবর।
মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অনেক সময়ে ধরা পড়ে জরিমানা দেওয়ার আশঙ্কায় যাত্রীদের কেউ কেউ বিপজ্জনক পদক্ষেপ করছেন। তাতে অভিযুক্ত যাত্রীর নিজের জীবন বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি মেট্রোয় বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তা এড়াতেই সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
উপযুক্ত টোকেন না-থাকা যাত্রীদের জরিমানা করার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখানোর কথা বলা না হলেও তাঁদের সামলানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সজাগ থাকার কথা বলা হয়েছে।