ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড। —ফাইল চিত্র।
আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানো নিয়ে তৎপর হয়েছে রাজ্য। সমস্যার সমাধান খুঁজতে সোমবার একাধিক বাসমালিক সংগঠনের সঙ্গে কসবায় পরিবহণ ভবনে আলোচনায় বসেন রাজ্য সরকারের অধিকারিকেরা। সেখানে সংগঠনগুলিকে বাসের রুট পুনর্বিন্যাস করার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্মতলা চত্বরকে প্রান্তিক বাসস্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে দ্রুত ওই ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা ভাবা হয়েছে।
পরিবহণ দফতরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বেসরকারি বাস ও মিনিবাস তাদের রুটের মধ্যে অন্তর্বর্তী স্টপ হিসেবে খুব অল্প সময়ের জন্য ধর্মতলায় থেমে যাত্রী ওঠানো-নামানো করতে পারবে। অর্থাৎ, এত দিন ধর্মতলায় যাত্রা সম্পূর্ণ করার এবং সেখান থেকেই ফের যাত্রা শুরু করার যে ব্যবস্থা ছিল, তা আর চালিয়ে যাওয়া যাবে না। বাসমালিক সংগঠনগুলি এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও একাধিক অসুবিধার কথাও তুলে ধরেছে।
সংগঠনগুলির অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে ধর্মতলা চত্বর থেকে নতুন বাসের পারমিট দেওয়া বন্ধ। ফলে, ধর্মতলা কেন্দ্রিক সব রুটেই বাস কমে আসছে। ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘দু’-তিন ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রার শেষে চালক এবং কর্মীরা সাময়িক বিশ্রাম না পেলে আবার যাত্রা করা মুশকিল। এই অবস্থায় রুট বাড়িয়ে বাস অন্যত্র নিয়ে যেতে গেলে খরচ বাড়বে।’’
এর পাশাপাশি দূরপাল্লার যে সব বাস ধর্মতলা থেকে ছাড়ে, তাদের কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সেই প্রসঙ্গও ওঠে এ দিনের বৈঠকে। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, দূরপাল্লার বাসের জন্য বিকল্প জায়গার খোঁজ চলছে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘ধর্মতলা থেকে চলা বাসের প্রকৃত পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে তবেই পরিকল্পনা স্থির করা জরুরি।’’
এসপ্লানেডে তিনটি মেট্রোর সংযোগকারী স্টেশন তৈরি হলে বাসের গুরুত্ব ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে মনে করছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। তবে একই সঙ্গে তাঁরা এটাও জানাচ্ছেন, ওই কাজ সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা আর সম্ভব নয়।