Maniktala

মানিকতলায় গণপিটুনি কাণ্ডে জানা গেল নিহতের পরিচয়, কেন খুন, বাড়ছে রহস্য

স্থানীয় সূত্রে খবর, রতনবাবু বেশ কয়েক বছর আগে ওই এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁর তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে বিয়ের পর দিল্লিতে থাকেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৯ ১৬:২৪
Share:

মানিকতলার ঘটনার তদন্তে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। —নিজস্ব চিত্র

মানিকতলায় পিটিয়ে খুনের ঘটনায়, নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা গেল। মৃতের নাম রতন কর্মকার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি হুগলির আদি সপ্তগ্রামের বাসিন্দা। রতন পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী। মানিকতলার হাটে তাঁর কাপড়ের দোকান‌ও রয়েছে।

Advertisement

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাপস সাহা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাপসের বাড়ি ওই ক্লাবের পিছনেই। মানিকতলা থানা এলাকার কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এর তিনি সদস্য। আপাতত একজনকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় অনেকেই জড়িত। তবে ঠিক কী কারণে তাকে পিটিয়ে মারা হল সে বিষয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রতনবাবু বেশ কয়েক বছর আগে ওই এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে বিয়ের পর দিল্লিতে থাকেন। ছোট মেয়ের‌ও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বুধবার দেহ উদ্ধারের পর স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁকে চোর অপবাদ দিয়ে ক্লাবে ঢুকিয়ে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় ব্যবসায়িক কোন শত্রুতা রয়েছে কি না অথবা ব্যক্তিগত আক্রোশে তাকে পিটিয়ে মারা হলো কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পডু়ন: পর পর বিকট শব্দে রাস্তায় ফাটল ট্যাংরায়, নালার গ্যাস থেকে বিপত্তি বলে অনুমান

আরও পড়ুন: চেয়ারে বসা, গলার নলি কাটা, ব্রড স্ট্রিটের বাড়িতে খুন বৃদ্ধ

বুধবার মানিকতলায় ৩৬ নম্বর কালচারাল অ‍্যাসোসিয়েশন ক্লাব থেকে রতনবাবুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজ তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে অবশ্য জানা যাচ্ছে, রতনবাবুর বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। সেই ঘটনা সূত্র ধরেই পরে তাঁকে ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের ফরেনসিক টিম ক্লাব থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পিটিয়ে মারার ঘটনায় আরও চার জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement