প্রতীকী ছবি।
দশ টাকা দিতে গিয়ে খোয়া গেল প্রায় ৬৪ হাজার টাকা!
কেওয়াইসি করানোর জন্য মাত্র ১০ টাকা চাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, বেহালার বাসিন্দা ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় সেই টাকা ব্যাঙ্ক মারফত ট্রান্সফার করতেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গিয়েছে ৬৩ হাজার ৯৫১ টাকা! সোমবার সকালে বেহালা থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেন ইন্দ্রনীল।
যে ব্যক্তি নিজেকে বেসরকারি আর্থিক সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফোন করেছিলেন, তিনি অবশ্য মঙ্গলবারও ফোন করে ১০ টাকা চেয়েছিলেন। এ বার ওই ব্যক্তির অফিসের ঠিকানা জানতে চাইতেই তিনি ফোন কেটে দেন বলে দাবি ইন্দ্রনীলের। অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য না জানাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে রেডিয়ো, টিভি ও সংবাদপত্রে বারবার প্রচারও করা হচ্ছে।
তাও কেন এই ভুল? বেসরকারি সংস্থার কর্মী বছর সাতচল্লিশের ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘আসলে ওই ব্যক্তির কথায় ভরসা করে ফেলেছিলাম।’’ যে বেসরকারি আর্থিক সংস্থার নাম করে ফোন করা হয়েছিল, ইন্দ্রনীল তার গ্রাহক। প্রথমে সেই ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে মোবাইলে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলেন। ওই ব্যক্তির কথা মতো অ্যাপ ডাউনলোড করার পরে তিনি কেওয়াইসি করতে বলেন। ফের সেই ব্যক্তি জানান, কেওয়াইসি করতে ১০ টাকা লাগবে এবং সেটা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেই ট্রান্সফার করতে হবে। আর্থিক সংস্থার দফতরে গিয়ে ইন্দ্রনীল টাকা দিতে চাইলে ওই ব্যক্তি জানান, শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ওই টাকাটা দেওয়া যাবে।
এর পরেই নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ টাকা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েও দেন ইন্দ্রনীল। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘ওই ফোনটা ছাড়ার পরে আমার আরও একটি ফোন আসে। সেই ফোনে কথা বলার ফাঁকে মোবাইলে পরপর ঢোকে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার বার্তা। দেখি, তত ক্ষণে প্রায় ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়ে গিয়েছে।’’ ইন্দ্রনীলের দাবি, ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করে লেনদেন বন্ধ করতে বলার ফাঁকেই আরও ১৪ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়।