ক্যাবে ফেলে আসা ব্যাগ পেতে নাকাল যাত্রী

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকতলার মুরারিপুকুর থেকে জওহরলাল নেহরু রোডে যাওয়ার জন্য বুক করা হয়েছিল ওই অ্যাপ-ক্যাব। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছে ক্যাব ছেড়ে দিলেও টাকার ব্যাগটা গাড়িতেই থেকে যায় যাত্রীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

চালক হিসেবে যাঁর ছবি দেখানো হচ্ছে, তিনি আদতে গাড়িটা চালাচ্ছেন না। সেই চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য দেওয়া নেই কোনও ফোন নম্বরও! ফলে স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় উব্‌র ক্যাবে উঠে টাকার ব্যাগ হারিয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হল এক যাত্রীকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরে শেষে হেস্টিংস থানার সাহায্যে ওই ব্যাগ ফের পেলেন তিনি। তবে এই হারানো-প্রাপ্তির অভিজ্ঞতা শুনে অনেকেরই প্রশ্ন, কোনও সাধারণ মানুষ এ ভাবে সমস্যায় পড়লে কী করবেন? আদৌ কি মিলবে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার সাহায্য?

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকতলার মুরারিপুকুর থেকে জওহরলাল নেহরু রোডে যাওয়ার জন্য বুক করা হয়েছিল ওই অ্যাপ-ক্যাব। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছে ক্যাব ছেড়ে দিলেও টাকার ব্যাগটা গাড়িতেই থেকে যায় যাত্রীর। উব্‌র অ্যাপে গিয়ে দেখা যায়, চালকের ফোন নম্বর সেখানে নেই। স্রেফ তাঁর নাম এবং ছবি রয়েছে। ক্যাব বুক করার সময়েই কম্পিউটার-চালিত নম্বর তাদের সার্ভার থেকে পাঠায় উব্‌র। ক্যাবে ওঠার আগে পর্যন্ত তা দিয়েই চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। তবে যাত্রা শেষ হয়ে গেলে সেই নম্বর দিয়ে আর চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও তা-ই হয়েছে। অভিযোগ, অ্যাপে ঢুকে হারানো জিনিসপত্র সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর নির্দিষ্ট জায়গায় জানিয়েও সাহায্য মেলেনি। অভিযোগ জানালেই একটি নম্বর থেকে বারবার ফোন এসেছে এবং কিছু ক্ষণ গান শোনানোর পরে ফোন কেটে গিয়েছে!

রাত আটটা পর্যন্ত হয়রানির পরে উব্‌রের জনসংযোগ বিভাগের এক কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেষ্টা করে দেখছেন। তবে জনসংযোগের কাজ ছাড়া অন্য কিছুতে ঢোকার এক্তিয়ার তাঁদের নেই। এলাকাটি কলকাতা পুলিশের হেস্টিংস থানার অন্তর্গত। সেখানে গিয়ে অভিযোগ জানাতে থানার ওসি প্রশান্ত মজুমদার উব্‌রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খোঁজ পাওয়া যায় চালকের। উব্‌র থেকেও চালকের নম্বর দেওয়া হয়। ওসি-র নির্দেশে রাত ১০টা নাগাদ টাকার ব্যাগ নিয়ে হেস্টিংস থানায় পৌঁছন চালক। দেখা যায়, উব্‌রের খাতায় গাড়ির মালিক হিসেবে বিনোদ সাউ নামে এক ব্যক্তির নাম রয়েছে। তবে বিনোদের আইডি ব্যবহার করে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বিশ্বজিৎ সূত্রধর নামে আর এক জন। শেষে বিনোদ হেস্টিংসে পৌঁছে গাড়ি নিয়ে ফেরেন।

Advertisement

তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন থেকে যায়, এক জন সাধারণ মানুষ কী করবেন? ছুটির দিন হলে সমস্যা আরও বেশি। অন্যান্য ক্যাব সংস্থার মতো চালকের নম্বরই বা গ্রাহককে সরাসরি দেওয়া হবে না কেন? অন্যের আইডি ব্যবহার করে গাড়ি চালানোই বা গ্রাহকদের পক্ষে কতটা নিরাপদ? উব্‌র জানায়, গ্রাহকের কথা ভেবেই চালককে তাঁদের নম্বর দেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে গাড়িচালকের গাফিলতি প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু খোয়া গেলে উব্‌রের কলকাতার দফতরে যোগাযোগ করা যেতে পারে। ইমেল বা অ্যাপের মাধ্যমেও দ্রুত সাহায্য পাওয়া যায়।

স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যার মতোই জরুরি সময়ে তা কাজ না করলে? কোনও উত্তর নেই অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাটির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement