অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তাঁর ভরসা ছিল অহিংসা। যুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা প্রদর্শন নয়, বরং শান্তির পথেই আস্থা ছিল তাঁর। কিন্তু জাতির জনকের এই আদর্শ আজকের দিনে ঠিক কতটা প্রাসঙ্গিক? ২ অক্টোবর গাঁধী জয়ন্তীতে সেই নিয়েই আলোচনা জমে উঠল তিলোত্তমার বুকে।
গত শুক্রবার ১৫১তম গাঁধী জয়ন্তীতে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে ‘মহাত্মা ফর ইউ’ বইটি প্রকাশিত হল কলকাতার একটি স্টুডিয়োতে। সত্যম রায়চৌধুরী সম্পাদিত ‘ফর ইউ’ সিরিজের সাম্প্রতিকতম সংযোজন এই বইটি। কোভিড পরিস্থিতিতে ‘দ্য অথরস ক্লাব ওয়ার্লডওয়াইড’ আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে, গুণীজনদের উপস্থিতিতে বইটি প্রকাশিত হয়।
প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী ওই আলোচনা সভায় মহাত্মার জীবন ও কাজকর্মের নানা অজানা দিক তুলে ধরেন বিশিষ্টজনেরা। একই সঙ্গে ওই দিন ১২ জনের হাতে ‘গাঁধী পিস অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার পান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর গাঁধীয়ান স্টাডিজ-এর চেয়ারম্যান এন রাধাকৃষ্ণণ, আজাদ হিন্দ ফৌজ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) আর এস ছিকারা, অ্যাথলিট উসেইন বোল্ট, প্রিন্স জগদীশ দানেটি, শ্বেতা ঝা, রানিয়া লোম্পু, এভারটন হান্নাম, ক্রেসি ক্রেসেনজা, অনন্ত মহাদেবন, হ্যারিয়েট টার্নার রিভাস, গাই জোকেন এবং সত্যম রায়চৌধুরী।