ছবি: সংগৃহীত।
এক সময় বিলেতের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হত কলকাতা পুলিশের। সেই লন্ডন পুলিশের কাছ থেকেই প্রশংসা আদায় করে নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
প্রায় ২৩ হাজার ব্রিটিশ নাগরিকের প্রতারণার ঘটনার পিছনে থাকা চক্র ফাঁস করে পাণ্ডাদের পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। সেই প্রতারণার কিনারা হওয়ায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে ব্যক্তিগত ভাবে শুভেচ্ছা জানালেন লন্ডন পুলিশের জাতীয় জালিয়াতি দমন এবং সাইবার অপরাধ বিভাগের অধিকর্তা জোনাথন ফ্রস্ট। কলকাতা পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেলেও ওই ফোনের কথা স্বীকার করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিনিধি ভূপেন্দ্র বিন্দ্রা কলকাতা পুলিশে অভিযোগ জানান একটি প্রতারণার ব্যাপারে। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁদের কোম্পানির হয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা করার নাম করে কিছু প্রতারক ভুয়ো কলসেন্টার খুলে মানুষকে প্রতারণা করছে।
আরও পড়ুন: ‘শব্দবাজি ফাটাবই, যার যা করার করে নিক!’
আরও পড়ুন: আপাতত সারিয়েই চলবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল
বিষয়টি সহজ ভাষায়, ওই নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যার ব্যবহারকারীর কাছে ভুয়ো কলসেন্টারের কর্মীরা নিজেদের সফওয়্যার সংস্থার অনুমোদিত প্রযুক্তিবিদ বলে পরিচয় দিচ্ছে। যে কোনও সমস্যায় যখন সফটওয়্যার ব্যবহারকারী সেই ভুয়ো কলসেন্টারকে সংস্থার অনুমোদিত সহায়তা কেন্দ্র হিসাবে ফোন করছেন, তখন ওই ভুয়ো কোম্পানি সহায়তার নাম করে মোটা টাকা নিচ্ছে, কিন্তু গ্রাহক কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না।
কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার আধিকারিকরা তপসিয়াতে ওই ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ পায় এবং দু’টি এ রকম কলসেন্টারের হদিশ পায়। গ্রেফতার করা হয় সিদ্ধার্থ বন্ঠিয়া, ইসফাক আহমেদ এবং রিজওয়ান আলি নামে তিন অভিযুক্তকে।
তদন্তকারীদের দাবি, ওই ভুয়ো কলসেন্টার দু’টিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রতারিতদের তালিকা পাওয়া যায়। দেখা যায় প্রতারিতদের মধ্যে একটা বড় অংশ ব্রিটিশ নাগরিক। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘প্রচুর মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন প্রতারিতদের তালিকায়। কলকাতা পুলিশের তরফে ওই সমস্ত তথ্য জানানো হয় লন্ডন পুলিশকে। জানা যায় ওই প্রতারিতরাও সেখানকার স্থানীয় পুলিশে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছিলেন।’’ সেই সূত্রেই লন্ডন পুলিশের তরফে বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করা হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গে। তাঁকে ধন্যবাদ জানান জোনাথন ফ্রস্ট। সঙ্গে তদন্তে লন্ডন পুলিশের তরফে সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
এক তদন্তকারী জানান, কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে মার্কিন আইন রক্ষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে প্রতারিতদের কথা জানিয়ে।