—ফাইল চিত্র।
বাগুইআটি, কেষ্টপুর-সহ রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার জন্য একটি পৃথক দমকলকেন্দ্রের দাবি তুললেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, গত কয়েক বছর ধরেই এই দাবি তোলা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও তার বাস্তবায়ন চোখে পড়েনি।
কেষ্টপুরের এক বাসিন্দা সৌমেন অধিকারী জানান, তাঁদের এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি রাস্তা ছাড়া অধিকাংশই গলিপথ। সেখানে দমকলের ইঞ্জিন ঢোকা অসম্ভব। বাগুইআটির বাসিন্দা সুমিতা সাহা জানান, সেখানে গত ১০ বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে লোকবসতি। প্রায় প্রতিটি বাড়ি গায়ে গায়ে। এ ছাড়াও রাস্তার দু’ধারে রয়েছে দোকান। ফলে কমে গিয়েছে রাস্তার আয়তন। বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছতে সমস্যা হবে।
সেই কারণে বাসিন্দাদের বক্তব্য, গলির ভিতরে কোথাও আগুন লাগলে দমকলের একাধিক ছোট গাড়ির প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, সম্প্রতি বাগুইআটির একটি বাজারে আগুন লেগেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল দমকলকর্মীদের। তাই পৃথক দমকলকেন্দ্র তৈরির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হোক।
পৃথক দমকলকেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তার কথা মেনে নিয়েছেন বিধাননগর পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির প্রাক্তন সচিব মাইকেল মণ্ডলও। বাগুইআটির বাসিন্দা কংগ্রেস নেতা সোমেশ্বর বাগুইয়ের অভিযোগ, সাবেক রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার সময় থেকেই এই দাবি জানানো হচ্ছে। যা কার্যত সমর্থন করে বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় জানান, এই দাবি দীর্ঘ দিনের। পুজোর সময়ে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকেও বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে এই দাবি তোলা হয়েছিল।
যদিও দমকল দফতর সূত্রের খবর, পৃথক দমকলকেন্দ্র তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়। যে কোনও জায়গায় দমকলকেন্দ্র তৈরি করা যায় না। যেখানে কেন্দ্র করা হচ্ছে, সেখান থেকে দমকলকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারছেন কি না, সেটাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখতে হয়।
রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, সমস্যা সম্পর্কে প্রশাসন ওয়াকিবহাল। নিউ টাউনে মডেল দমকলকেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। সেখানে পাঁচটি ইঞ্জিন রাখার ব্যবস্থা থাকবে। সুজিতবাবুর দাবি, ওই কেন্দ্রটি চালু হলে রাজারহাট-গোপালপুরের বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দাদের দাবি পূরণ করা সম্ভব হবে।