ঘরকন্না: বাসেই রান্না আটকে পড়া বাসকর্মীদের। বৃহস্পতিবার, বেলগাছিয়ায়। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
লকডাউনের পরে বেসরকারি বাসের কর্মীদের একাংশ বাড়ি ফিরতে পারেননি। গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসই হয়ে উঠেছে তাঁদের ঘরবাড়ি। পরিবার থেকে দূরে কার্যত নির্বাসনেই দিন কাটছে তাঁদের।
লকডাউনের জেরে সব রকম যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসও বন্ধ রয়েছে। আয় না থাকায় অনেককেই প্রবল অর্থসঙ্কটে পড়তে হয়েছে। বেলগাছিয়া মিল্ক কলোনি সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে ৩বি, ৩ডি এবং ৩ডি/১ রুটের ৩০টি বাসের প্রায় পঞ্চাশ জন কর্মীর এমনই অবস্থা হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে স্থানীয়দের একাংশ তাঁদের হাতে চাল, ডাল, আলু-সহ জরুরি খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিয়েছেন। তবে শহরের অন্য একাধিক রুটের বাসমালিক সংগঠন কর্মীদের সাহায্যে এগিয়ে এলেও বেলগাছিয়ার ওই তিনটি রুটের ক্ষেত্রে তেমন ঘটেনি বলে অভিযোগ।
সরকারি হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের যাতায়াতের জন্য বেসরকারি বাস ব্যবহার করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ওই সব বাস সময় মতো চালানোর জন্য অনেক ক্ষেত্রে কর্মীদের বাসেই থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। বাসের কর্মীদের অর্থ এবং অন্য জরুরি উপকরণ দিয়ে সাহায্য করতে তাঁরা সংগঠনের তহবিল খরচ করছেন বলে খবর। তবে, স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবহণের কাজ করলেও বাসকর্মীদের নিজস্ব সুরক্ষার সরঞ্জাম পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য ততটা মেলেনি বলে অভিযোগ তাঁর। ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু জানিয়েছেন, জনতা কার্ফুর দিন থেকেই তাঁদের বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে বাসকর্মীরা আটকে পড়েননি। তবে, বাসকর্মীদের কিছুটা সাহায্য করতে সংগঠনের তহবিল থেকে নগদ টাকা দেওয়া হচ্ছে।