ফাইল চিত্র
সামান্য একটা ‘ভুল’। তাতেই কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে বিমান।
শুধু ক্ষতি নয়, প্রশ্ন উঠেছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও। সোমবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে ভুটান এয়ারওয়েজের বিমানের ইঞ্জিনের তলায় এয়ার ইন্ডিয়ার ট্রলি (যাত্রীদের মালপত্র বহনের গাড়ি) ঢুকে যে ভাবে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে গাফিলতির কারণই দেখতে পাচ্ছে ঘটনার তদন্তে নামা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় নামে ভুটান এয়ারওয়েজের বিমানটি। ৮৫ জন যাত্রীর মধ্যে কলকাতায় নেমে যাওয়ার কথা ছিল ২৮ জনের। বাকিদের ওই বিমানেই যাওয়ার কথা ছিল ভুটানের পারোয়। কলকাতা থেকে পারো যাওয়ার জন্য একই বিমানে ওঠার কথা ছিল আরও ৬২ জন যাত্রীর। বিমানবন্দরে নেমে পার্কিং বে-তে দাঁড়ানোর আগে ককপিটে বসা পাইলটকে দূর থেকে রাস্তা দেখান মার্শালরা। তাঁদের হাতে গোল টেবিল টেনিস ব্যাটের মতো দেখতে সঙ্কেত থাকে। সেটি নাড়তে নাড়তে মার্শালরা পাইলটকে বলে দেন, ঠিক কোথায় এসে বিমান দাঁড়াবে। এ দিনও ভুটান এয়ারলাইন্সের বিমানকে শেষ মুহূর্তে পথ দেখাচ্ছিলেন এক মার্শাল। কিন্তু ‘৫৮ রোমিও’ পার্কিং বে-তে দাঁড়ানোর আগেই বিমানের ডান দিকের নীচে ধাক্কা লাগে এয়ার ইন্ডিয়ার দাঁড়িয়ে থাকা ট্রলিটির। অভিযোগ, ট্রলিটি যে ওই পার্কিং বে-তে পড়েছিল তা সম্ভবত আগে থেকে মার্শাল লক্ষ করেননি। অন্য দিকে, বিমানের ককপিটের উচ্চতা মাটি থেকে এতটাই উপরে হয় যে নীচে থাকা জিনিস পাইলটের চোখে পড়ার কথা নয়।
শুধু মার্শাল নন। বিমান এসে দাঁড়ানোর আগে পার্কিং বে একেবারে পরিষ্কার করে রাখার দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের কোনও গাফিলতি আছে কি না, সেই প্রসঙ্গও তদন্তে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতায় ভুটান এয়ারলাইন্সের যাবতীয় দায়ভার এয়ার ইন্ডিয়া বহন করে। তাই, ক্ষতিগ্রস্ত বিমান পরীক্ষায় নেমেছেন এয়ার ইন্ডিয়ার ইঞ্জিনিয়ারেরা।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানটি বসে যাওয়ার খবর পেয়ে এ দিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি খালি বিমান পারো থেকে কলকাতায় উড়ে আসে এবং কলকাতায় অপেক্ষমাণ যাত্রীদের নিয়ে দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ উড়ে যায়।