লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই দিনগুলিতে টালা এলাকার পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে জন্য ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরায় সর্বক্ষণের নজরদারি চালাবে লালবাজার। এ বারই প্রথম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা লালবাজারে অভিযোগ জানাতে পারবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, টালা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ১৭টি স্কুলে মাধ্যমিকের পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র হয়েছে। ওই সব স্কুলের সামনের রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণে সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশকেও। যাতে পরীক্ষা শুরুর আগে বা পরে পরীক্ষার্থীরা যানজটে আটকে গেলে দ্রুত তাদের সেখান থেকে বার করে নেওয়া যায়।
কী ভাবে নজরদারি চালাবে লালবাজার? কন্ট্রোল রুমের সিসি ক্যামেরায় বিশেষ নজর রাখা হবে টালা এবং তার সংলগ্ন এলাকায়। সেখানকার যে কোনও রাস্তায় সামান্য যানজট দেখলেই দ্রুত তা স্বাভাবিক করতে নির্দেশ দেবেন কন্ট্রোল রুমের অফিসারেরা। টালা সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরির জন্য চলতি মাসের শুরু থেকেই সেখান দিয়ে গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। এর জেরে উত্তর কলকাতা এবং উত্তর শহরতলির যান চলাচল নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। শুধু ট্র্যাফিক স্বাভাবিক রাখাই নয়, ওই সময়ে মাইক বা লাউডস্পিকার সংক্রান্ত অভিযোগ জানালে তা-ও সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা শনিবার টুইটারে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘মাইক, লাউডস্পিকার বা অন্য অসুবিধা হলেই ১০০ নম্বর বা ৯৪৩২৬-১০৪৪৩, ৯৪৩২৬-১০৪৪৬, ৯৮৭৪৯-০৩৪৬৫ এবং ৯৪৩২৬-২৪৩৬৫ নম্বরে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করে জানান।’’ এ দিন তিনি ওসি এবং ডিসিদের ওই সময়ে শব্দদূষণ আটকাতে সতর্ক থাকতে বলেছেন। কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তা যেন থানাকে জানানো হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন সিপি।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে এ-ও জানানো হয়েছে, রাস্তাঘাটে অসুবিধায় পড়লে পরীক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা ১০৭৩, ৯৮৩৬৯-৮৪৮১৪, ২২৫০-৫০৯৬, ২২১৪-৩৬১৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। লালবাজারের আশ্বাস, সমস্যা মেটাতে দ্রুত সচেষ্ট হবেন কর্মীরা। ফোন করা না গেলে রাস্তায় কর্তব্যরত যে কোনও ট্র্যাফিক কর্মীর কাছে সাহায্য চাইলেও সমস্যা মেটানো হবে বলে জানানো হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যে কোনও গাড়িকে আগে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। লালবাজার জানিয়েছে, প্রতি রাস্তায় পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের নাম দিয়ে দিক-নির্দেশ থাকবে।