ফাইল চিত্র।
অতিমারির মধ্যেও হতে চলেছে দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রী পুজোর ছাড়পত্র দিতেই শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। আর নতুন মাস পড়তেই পুজোর কেনাকাটার ভিড় আছড়ে পড়েছে গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট থেকে হাতিবাগান— শহরের সর্বত্র। পুলিশের সন্দেহ, এই ভিড়ে সক্রিয় হয়েছে পকেটমার এবং ছিনতাইবাজেরাও। তাই নজরদারি বাড়াতে বাহিনীকে আগাম সতর্ক করেছে লালবাজার।
পুলিশ সূত্রের খবর, পুজোর আগে শহরের সর্বত্র দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। মঙ্গলবার এই মর্মে লালবাজার থেকে ডিসি-দের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সেই নির্দেশে আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই তল্লাশি অভিযান এবং নজরদারি জোরদার করতে বলা হয়েছে। আজই পুলিশ কমিশনারের কাছে ওই অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ডেপুটি কমিশনারদের। যুগ্ম কমিশনারের (অপরাধ) তরফে সেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, পুজোর মরসুমে বরাবরই বেশি রকম সক্রিয় হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীরা। ভিড়ে ঠাসা বাজারে ছিনতাই বা কেপমারির ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায় তারা। প্রতিবারই পুজোর আগে ভিন্ রাজ্যের কেপমারের দল শহরে আস্তানা গাড়ে।
আরও পড়ুন: রায় নিয়ে ধন্দ, তাই ছটের প্রস্তুতি ৪৪টি ঘাটে
এ বার তাই এই ধরনের দুষ্কৃতীদের ঠেকাতে আগে থেকেই বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় হতে বলল লালবাজার। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন থানা অপরাধ ঠেকাতে একাধিক দল তৈরি করে নিজেদের এলাকায় টহল দিচ্ছে। দুষ্কৃতী দমনের পাশাপাশি লালবাজারের কর্তারা বেআইনি মদের ঠেক কিংবা জুয়ার আড্ডার বিরুদ্ধেও অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এক ডেপুটি কমিশনার জানান, দিনের পাশাপাশি রাতেও যাতে টহলদারি ঠিক মতো চলে, থানাগুলিকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানার অফিসারদের সঙ্গে ওসি-রাও নিজেদের এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। বিভিন্ন থানার আওতাধীন এলাকায় বাজার ও মার্কেট কমপ্লেক্সগুলিতেও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সাঁতরাগাছি ঝিল সংস্কারে আরও ছ’মাস দিল আদালত
পুজোর বাকি আর মাত্র দু’সপ্তাহ। তাই নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, গড়িয়াহাটের মতো বাজার এলাকায় এখন রোজই ভিড় হচ্ছে। সেই কারণে বাজার ও মার্কেট কমপ্লেক্সগুলিতে নজরদারি চালাতে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে একাধিক দল তৈরি করে মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া, গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন শাখার অফিসারদের নিয়ে আলাদা আলাদা দল তৈরি করে জনবহুল জায়গাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় আটটি দল গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, বড়বাজার, পোস্তা, হাতিবাগান ও বেহালায় নজরদারি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:কেনাকাটার ভিড়ে বড় বিপদের আশঙ্কা পুজোর আগেই
করোনা পরিস্থিতির জেরে এ বছর পুজোর বাজারের কেনাকাটায় কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। ভিড় হলেও তা অন্যান্য বারের মতো নয়। তা সত্ত্বেও লালবাজারের কর্তারা পুজোর আগে শহরের আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে সব রকমের ব্যবস্থা নিতে চান। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে ডিসি-দের প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।