ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের সুযোগ-সুবিধা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করল রাজ্য সরকার।
পুলিশ দিবসের উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তাঁদের জন্যই একগুচ্ছ ঘোষণা হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। প্রশাসনের অন্দরের ধারণা, সেই ঘোষণার মধ্যে হোমগার্ডদের আর্থিক দাবিদাওয়ার দিকটি বেশি গুরুত্ব পেতে চলেছে।
নিচুতলার পুলিশকর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। সাধারণ সুযোগ-সুবিধা থেকে আর্থিক দাবিদাওয়া— সব কিছুতেই সরব এই অংশের কর্মীরা। হালে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের ক্ষোভও একাধিক বার প্রত্যক্ষ করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার পুলিশ দিবস ঘোষণা হয়েছে। তবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে পরে পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠান হতে পারে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর। সে দিনই নিচুতলার পুলিশকর্মীদের জন্য বিভিন্ন ঘোষণা হতে পারে।
প্রশাসনের অন্দরের খবর, হোমগার্ডেরা এখনও বেতন কমিশনের আওতায় আসেননি। ফলে বেতন কাঠামো নিয়ে তাঁদের যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। এক-এক জন হোমগার্ড কনস্টেবলদের সমান দায়িত্ব পালন করলেও তাঁদের বেতন ১২ হাজার টাকার আশপাশে। দীর্ঘদিন থেকেই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছেন হোমগার্ডরা। সেই দাবি সরকার মেনে নিতে পারে এ বার। তা ছাড়া অবসরকালীন আর্থিক সুবিধার পরিমাণও বাড়াতে পারে রাজ্য। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘কনস্টেবলদের সমান বেতনের দাবি অনেক আগে থেকেই করে আসছেন হোমগার্ডেরা। নিচুতলার পুলিশকর্মীদের মধ্যে যে ভাবে ক্ষোভ বাড়ছে, তাতে প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও তা মেনে নিতে পারে রাজ্য।’’
কোভিড-লড়াইয়ে যে সব পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের সাত জন এবং রাজ্য পুলিশের আট জন মৃত পুলিশকর্মীর নিকটাত্মীয়কে চাকরি দেবে সরকার। ১ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানে মৃতদের নিকটাত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের জন্য ওই অনুষ্ঠান আগামী ৮ তারিখ হবে। স্বাস্থ্য দফতরও কয়েক জনের নাম প্রস্তাব করেছে। প্রয়াত ডব্লিউবিসিএস অফিসার দেবদত্তা রায়ের স্বামীকেও চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা হতে পারে সে দিন।
পুলিশকর্তাদের অনেকেই পুলিশ দিবসের লোগোটিকে নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইল ছবি করেছেন। লোগো পোস্ট করে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা নিজের ফেসবুক পেজে নিঃস্বার্থ ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ফের স্মরণ করিয়েছেন। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও ব্যক্তিগত ভাবে বেশ কিছু থানা এলাকায় সাধারণ মানুষ পুলিশকে ফুল দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে গিয়েছেন।