—প্রতীকী ছবি।
অস্বাভাবিক কিংবা দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় ময়না তদন্তের পরে দেহ হাতেপেতে পরিবারের হয়রানিরঅভিযোগ নতুন নয়। কিছু দিন আগেও একই পরিবারের একাধিক সদস্যের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরে দেহ পেতে পরিজনদের হয়রান হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ বার সেই পরিস্থিতির পরিবর্তনঘটিয়ে পুরো ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ করতে সচেষ্ট হল লালবাজার। সূত্রের খবর, ময়না তদন্তের শেষে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া সরল করতে লালবাজারের তরফে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর (এসওপি) বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে যে সব মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়, সেখানে পৃথক কোনও শাখা খোলা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন পুলিশকর্তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ময়না তদন্তের পরে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়ায় একাধিক ধাপ পেরোতে হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকে একাধিক থানা। ফলে, সব ধাপ পেরিয়ে এবং যাবতীয় নিয়মমেনে ওই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে বেশ কিছুটা সময় লাগেবলে দাবি পুলিশের। তাতেই প্রিয়জনের দেহ পেতে দিন গড়িয়ে যায় পরিবারের। অভিযোগ, অনেক সময়েই দিনের দিনে ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া শেষ হয় না।
তাই যে সব থানা এলাকায় বড় হাসপাতাল বা মর্গ রয়েছে,সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেনলালবাজারের পুলিশকর্তারা। গোটা পদ্ধতিকে সহজ করতে নগরপাল বিনীত গোয়েলের নির্দেশে ওইবৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। সূত্রের দাবি, ওই প্রক্রিয়া সরল করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি, বৈঠকে সেই পরামর্শ চাওয়া হয় পুলিশের আধিকারিকদের কাছে।
পাশাপাশি, ময়না তদন্তের রিপোর্ট যাতে সহজে অনলাইনে পাওয়াযায়, বৈঠকে তার উপরেও জোর দেওয়া হয়। এক পুলিশকর্তা জানান,ময়না তদন্ত এবং তার পরে প্রিয়জনের দেহ পাওয়া নিয়ে পরিবারের ভোগান্তি কমাতে চাইছে লালবাজার। বৈঠকে সে সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।