ফাইল চিত্র।
নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কালীপুজোর সময়ে প্রতি বছরই ডিজে এবং বিশাল সাউন্ড বক্স বাজিয়ে শব্দ-তাণ্ডব চলে শহরে। এ বার ওই শব্দ-দৌরাত্ম্য ঠেকাতে গোড়ায় কোপ মারতে চাইছে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, ডিজে এবং বড় সাউন্ড বক্সের মালিকদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে প্রতিটি থানার আধিকারিকদের। তাঁরা কথা বলে নিশ্চিত করবেন, যাতে মালিকেরা কেউ কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা এবং ছটপুজোয় বক্স ভাড়া না দেন। এ জন্য সব থানা এলাকার ডিজে এবং মাইক ভাড়া দেওয়ার দোকানের মালিকদের ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা মালিকদের ভাড়া দেওয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্স বা ডিজের জোগানটাই বন্ধ করে দিতে চাইছি।’’ পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এ বিষয়ে কোনও কোনও থানা লিখিত সম্মতিও আদায় করেছে।
তবে লালবাজারের একটি সূত্রের দাবি, শনিবারের মধ্যে মাইকের মালিকদের সঙ্গে কথা বলার কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানার আধিকারিকদের। এর সঙ্গেই লালবাজারের তরফে প্রতিটি পুজো কমিটিকে বলা হয়েছে, বিসর্জনের সময়ে ডিজে এবং সাউন্ড বক্স ভাড়া না নিতে। এর জন্য থানার তরফে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশের নির্দেশ লিখিত ভাবে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ শহরতলির একটি থানার আধিকারিক জানান, এলাকার সব মাইকের দোকানের মালিককে ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে ভাড়া না দিতে। সকলেই একমত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কালীপুজো এবং দীপাবলির রাতে শব্দবাজির হাত থেকে রেহাই পেতে প্রতিটি বহুতলে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন থানার অফিসারেরা। মধ্য কলকাতার একটি থানার ওসি নিজের এলাকার বহুতলগুলিকে সর্তক করার জন্য অফিসারদের একাধিক দল তৈরি করে দিয়েছেন। তাঁরা পুজোর আগে এলাকার বহুতলের আবাসিকদের কাছে একাধিক বার পৌঁছে সতর্ক করবেন।
নজরদারি এবং সতর্কতামূলক প্রচার সত্ত্বেও শব্দদানবের হাত থেকে কতটা রেহাই মিলবে কালীপুজো কিংবা দীপাবলির রাতে, তা নিয়ে অবশ্য সন্দিহান পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের একাংশই। কলকাতা পুলিশের শীর্ষ মহল থেকে শুক্রবারও জানানো হয়েছে, কেউ নিষেধ অমান্য করে কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা বা ছটপুজোয় ডিজে, বড় সাউন্ড বক্স ভাড়া দিলে পুজো কমিটির সঙ্গে মালিকের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হবে। সেই সঙ্গে ওই সব যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও মালিকদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশকর্তারা দাবি করেছেন।