টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ। ঠনঠনিয়া, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, পাতিপুকুর, গার্ডেনরিচের একাংশ। —প্রতীকী চিত্র
রাত থেকে টানা বৃষ্টি। যার জেরে কলকাতার একাংশ ইতিমধ্যেই জলের তলায়। ঘূর্ণীঝড় নয়, নিম্নচাপ হয়ে বাংলায় প্রবেশ করে ‘জওয়াদ’। যার জেরে রাত থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। টানা বৃষ্টিতে কলকাতার একাধিক অঞ্চলে জল জমেছে। জলমগ্ন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ। ঠনঠনিয়া, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, পাতিপুকুর, বিটি রোড গার্ডেনরিচের একাংশ। এক কথায়, উত্তর-মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতার অনেক রাস্তাতেই জল জমেছে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সেচ, বিদ্যুৎ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
জমাজল দ্রুত নামাতে তৎপর পুরসভা। নিকাশি বিভাগের কর্মীদের অনেকেই রাস্তায় রয়েছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না বেরোয়, তার চেষ্টা করছেন। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সোমবার এ রকমই থাকবে। তবে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
শনিবারই শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’। রবিবার সকালে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়েছে। হাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী ওড়িশা উপকূল থেকে নিম্নচাপটি আরও উত্তরপূর্বে সরেছে। এবং ১০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে এগোচ্ছে। আগামী ছ’ঘণ্টায় আরও শক্তি ক্ষয় করে নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয় হবে বাংলার উপকূল।
শুধু কলকাতা নয়, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার, বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।