ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। নিজস্ব চিত্র।
কী কারণে নিউ কয়লাঘাটের রেলভবনে সোমবার আগুন লেগেছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। সে জন্য গঠন করা হয়েছে উচ্চপর্যায়ের কমিটিও। এরই মধ্যে রেলভবনে অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে নামল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। মঙ্গলবার সকালেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে।
সোমবার সন্ধ্যায় আগুন লাগার পর রেলভবনের মানচিত্র দমকলকে দিতে না পারার অভিযোগ উঠেছিল রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই মেনে নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। স্ট্র্যান্ড রোডের এই অগ্নিকাণ্ড কি নিছক দুর্ঘটনা? নাকি এর পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে? ৯ জনের মৃত্যুর পর এই প্রশ্নগুলি যখন মাথাচাড়া দিচ্ছে, তখনই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
মঙ্গলবার সকালেই গোয়েন্দা বিভাগের ৭ জন অফিসার পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে। তাঁরা বহুতলেও ঢুকেছেন। কী করে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। মানচিত্র না পাওয়া, পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না— এই বিষয়গুলিও গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগুন বড় আকারে ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নগরপাল সৌমেন মিত্র এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মুরলীধর শর্মাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। ‘রাজনীতি’ করতে না চাইলেও আগুন নেভানোর ব্যাপারে রেলের অসহযোগিতার কথা তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পরিস্থিতিতে রেলের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়ান্দাদের তদন্তে ঢুকে পড়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার যদি তদন্ত শুরু করে, তা হলে রেলের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে।’’