Kolkata Doctor Rape-Murder Case

কেন নির্যাতিতার নাম বলে দিয়েছেন? আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে তলব লালবাজারের

আরজি কর-কাণ্ডের নির্যাতিতার ছবি এবং নাম-পরিচয় সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে পুলিশ। প্রাক্তন অধ্যক্ষ স্বয়ং নির্যাতিতার নাম ফাঁস করে দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৪ ১৯:৩০
Share:

আরজি কর-কাণ্ডে এ বার লালবাজারে তলব করা হল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। —ফাইল চিত্র।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে এ বার তলব করল কলকাতা পুলিশ। বুধবার দুপুর ১২টায় তাঁকে লালবাজারে যেতে বলা হয়েছে। গত ৯ অগস্ট আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জনসমক্ষে নির্যাতিতার নাম বলে দেন সন্দীপ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কারণেই তাঁকে এ বারের তলব।

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডের নির্যাতিতার ছবি এবং নাম-পরিচয় সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে পুলিশ। প্রাক্তন অধ্যক্ষ স্বয়ং নির্যাতিতার নাম ফাঁস করে দেন। যার প্রেক্ষিতে একটি মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দীপকে বুধবার ডেকে পাঠানো হয়েছে লালবাজারে। অন্য দিকে, প্রায় প্রতি দিনই সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। কখনও ১০ ঘণ্টা, কখনও ১২-১৩ ঘণ্টা সিবিআই দফতরে থাকতে হচ্ছে সন্দীপকে। তার মধ্যেই লালবাজারও তদন্ত শুরু করেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ঘটনার পর নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করেছিলেন সন্দীপ।

মঙ্গলবারই পঞ্চম বার সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন সন্দীপ। পাশাপাশি, আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে সোমবার চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে রাজ্য। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের আমলের কোনও আর্থিক অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সব মিলিয়ে চাপে সন্দীপ।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপের বয়ানের সঙ্গে একাধিক সাক্ষীর বয়ানে অমিল রয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। আরজি করের ঘটনা কি কোনও ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল? সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তা ছাড়া সন্দীপের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এমনকি, সন্দীপের আমলে আরজি করে তাঁর মেয়ের কাজের অভিজ্ঞতা ভাল ছিল না, দাবি করেছেন মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement