Kolkata Doctor Rape-Murder Case

রাজ্যের সব হাসপাতালের নিরাপত্তায় নতুন পদ তৈরি, নিয়োগ করা হবে প্রাক্তন সেনা এবং পুলিশকর্তাদের

বাংলার সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ, সেনা অফিসার, নৌবাহিনী বা বায়ুসেনার অফিসারকে মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৪ ১৮:০৯
Share:

আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত রাজ্যের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। বাংলার সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ, সেনা অফিসার, নৌবাহিনী, বায়ুসেনার অফিসার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা। বস্তুত, মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা পরিকাঠামো জোরদার করার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের নিরাপত্তায় টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের তরফে জারি হওয়া নোটিসে পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের আবেদন করা হয়েছে, গত ২ বছরের মধ্যে অবসর নেওয়া পুলিশ ইনস্পেক্টর থেকে এসপি, যাঁরা এখনও শারীরিক ভাবে কর্মক্ষম এবং হাসপাতালগুলির নিরাপত্তার তদারকি করতে ইচ্ছুক, তাঁদের সম্পর্কে যেন তথ্য জোগাড় করা হয়। একই ভাবে অবসর নেওয়া সেনা অফিসার, নৌবাহিনীর অফিসার বা বায়ুসেনার অফিসারদেরও একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। ইচ্ছুক সেই অবসরপ্রাপ্ত অফিসার বা কর্মীদের আগামী ২৪ অগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হবে। যাঁরা ‘সিকিউরিটি অফিসার’ কিংবা নিরাপত্তার তদারকির জন্য কাজে যোগ দেবেন, তাঁদের পারিশ্রমিকের বিষয়টি আলোচনাসাপেক্ষ বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব অনুযায়ী, হাসপাতালগুলিতে যে টাস্ক ফোর্স থাকবে, তাতে ন’জন চিকিৎসক থাকবেন। টাস্ক ফোর্সের কাজ হল নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। কোনও রকম হিংসা বা লিঙ্গবৈষম্য দূর করা এবং চিকিৎসক, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরিতে একটি নির্দিষ্ট নিয়মবিধি প্রস্তুত করা। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও হাসপাতালে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement