Kolkata Police

উচ্চ মানবিক পুলিশ, ১০ মিনিট বাকি থাকতে ছাত্রকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন ইনস্পেক্টর

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাজার থেকে ২ কিলোমিটার দূরে রঘুমল আর্য বিদ্যালয়ে পরীক্ষার আসন পড়েছে ওই ছাত্রের। সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছনোর আশা নেই দেখে তিনি পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩ ২২:০৯
Share:

সাহায্যে এগিয়ে আসেন শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেক্টর প্রসেনজিৎ। ছবি: টুইটার।

সকাল ৯টা ৫০ মিনিট। শহরের রাস্তায় যানজটের জাল। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে তখন কর্তব্যরত ছিলেন ইনস্পেক্টর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন উচ্চ মাধ্যমিকের এক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হতে ১০ মিনিট বাকি। সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছনোর আশা না দেখে পুলিশের দ্বারস্থ হন। সাহায্যে এগিয়ে আসেন শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেক্টর প্রসেনজিৎ। গ্রিন করিডোর তৈরি করে ওই পরীক্ষার্থীকে সঠিক সময়ে পৌঁছে দেন ২ কিলোমিটার দূরের পরীক্ষা কেন্দ্রে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাজার থেকে ২ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে রঘুমল আর্য বিদ্যালয়ে পরীক্ষার আসন পড়েছে ওই ছাত্রের। সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছনোর আশা নেই দেখে তিনি পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন। এর পরেই উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডকে ‘গ্রিন করিডর’ তৈরির নির্দেশ দেন প্রসেনজিৎ। ছেলেটিকে নিজের গাড়িতে বসিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যান তিনি। পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট আগেই পৌঁছে যান স্কুলে।

অন্য দিকে, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কাঁকুড়গাছিতে ইন্দ্রাণী মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের কাছে ডিউটিতে ছিলেন উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট অনুপম চক্রবর্তী। কিছু অভিভাবক তাঁকে জানান, বেলেঘাটার শান্তিনগর এলাকায় নিজের বাড়িতে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ফেলে এসেছেন এক ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে নিজের বাইকে ছাত্রীকে চাপিয়ে তাঁর বাড়ি চলে যান অনুপম। ছাত্রীর মায়ের কাছ থেকে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ফের তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন ওই পুলিশ কর্মী।

Advertisement

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, প্রথম দিন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে হবে। বাকি দিনগুলিতে আধ ঘণ্টা আগে। তার পরেও প্রথম দিন এক ছাত্র সঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি। তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেন কলকাতা পুলিশ কর্মী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement