—প্রতীকী চিত্র।
উৎসবের শহরে হোর্ডিং-দূষণ নিয়ে পুরসভার হুঁশিয়ারি এল ঠিক মহালয়ার মুখে। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার নির্দেশিকায় হোর্ডিং-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে ধরা হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, কোনও পুজো কমিটি মাটি থেকে ২০ ফুটের বেশি উঁচুতে হোর্ডিং বা ব্যানার লাগাতে পারবে না। বাসস্ট্যান্ড বন্ধ করে বা পথ-বিভাজিকার (ডিভাইডার) উপরে হোর্ডিং লাগানো যাবে না।
উৎসবের আবহে যত্রতত্র হোর্ডিংয়ের উপস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেন অনেক নাগরিক। হোর্ডিংয়ের জন্য বাড়ির জানলা খোলা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগও ওঠে। এটা মাথায় রেখে এবং দৃশ্যদূষণের অভিযোগ ঠেকাতে বেশি উঁচুতে হোর্ডিং লাগাতে নিষেধ করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের ব্যাখ্যা, ‘‘পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতে এটা করতেই হবে। নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে পুজো করা যাবে না।’’
এই পুর নির্দেশিকা এ দিনই বিভিন্ন পুজো কমিটি তথা শহরের বেশির ভাগ পুজো কমিটির মঞ্চ ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর কাছে পৌঁছেছে। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে আরও একটি নির্দেশ, প্রত্যেকটি পুজো কমিটি যেখান থেকে হোর্ডিং লাগানো শুরু করেছে এবং যেখানে শেষ করছে, তা চিহ্নিত করে নাম লিখতে হবে। পুরসভার তরফে দেবাশিসের ব্যাখ্যা, কমিটিগুলিকে নিজেদের হোর্ডিংয়ের বিষয়ে দায়বদ্ধ করতেই এই ব্যবস্থা। কারণ, পুজোর পরে অনেক কমিটিই নিজের হোর্ডিংয়ের দায়িত্ব নেয় না। কারা, কোথায় হোর্ডিং লাগিয়েছে, সেটা চিহ্নিত করা তাই জরুরি।
শহরের এক প্রবীণ পুজোকর্তা তথা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য পার্থ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘অনেক সময়ে কোনও কোনও বাণিজ্যিক সংস্থা বা ব্র্যান্ডও নিজেদের প্রচার করার সময়ে পুজো কমিটির নাম জুড়ে দেয়। তাতে ওই ব্র্যান্ডের কথাই পুরোভাগে থাকে। ছোট করে লেখা থাকে পুজো কমিটির নাম। ফলে পুজো কমিটিগুলিকেই হেনস্থা হতে হয়।’’ পুজোর শেষে শহরের হোর্ডিং জঞ্জাল এবং হোর্ডিংজাত প্লাস্টিক বর্জ্য পড়ে থাকা নিয়েও উদ্বিগ্ন পুরকর্তারা।