নিজের ক্লাবে ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা পুরভোটে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ফের জিতেছেন তিনি। এ নিয়ে পর পর পাঁচ বার। পুরভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আলোচনা’ করতে ডেকেছিলেন তাঁকে। কথা বলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জল্পনা, এই আবহে ফিরহাদ (ববি) হাকিমই ফের কলকাতার মেয়র হতে পারেন। তবে খোদ ফিরহাদ যদিও এমন জল্পনা নিয়ে আলোচনায় উৎসাহী নন। সবই দল ঠিক করবে জানিয়েছেন তিনি
মঙ্গলবারই মমতা ক্যামাখ্যা পৌঁছেছেন। তিনি কলকাতা থেকে বেরোনোর আগে ফিরহাদ তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখা করেন। এ প্রসঙ্গে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ বলেন, ‘‘আশীর্বাদ চাইতে গিয়েছিলাম। প্রণাম করতে গিয়েছিলাম। উনি তো আমার দিদি।’’ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর ক্লাব চেতলা অগ্রণীর সামনে দাঁড়িয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘পার্টি প্রেসিডেন্ট আমাকে ফোন করেছিলেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) নবনির্বাচিত পুর কাউন্সিলরদের বৈঠক। সেখানে তাঁদের নেতা কে হবেন তাঁরা ঠিক করবেন।’’ ফিরহাদের কথায়, ‘‘আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। নিজের বেলাতেও (মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে) তৃণমূলের বৈঠক ডেকেছিলেন।’’ যদিও কলকাতার ভবিষ্যতের উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের পরবর্তী পুরবোর্ডের পরিকল্পনার কথা বলেছেন ফিরহাদ। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে অভিষেক তাঁদের সকলের সঙ্গে আলোচনা করে ‘কলকাতার দশ দিগন্ত’-এ যে প্রতিশ্রতির তালিকা দিয়েছিলেন, এ বার তা পূরণ করার পালা।
মঙ্গলবারই মমতা ক্যামাখ্যা পৌঁছেছেন। তিনি কলকাতা থেকে বেরোনোর আগে ফিরহাদ তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখা করেন। এ প্রসঙ্গে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ বলেন, ‘‘আশীর্বাদ চাইতে গিয়েছিলাম। প্রণাম করতে গিয়েছিলাম। উনি তো আমার দিদি।’’ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর ক্লাব চেতলা অগ্রণীর সামনে দাঁড়িয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘পার্টি প্রেসিডেন্ট আমাকে ফোন করেছিলেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) নবনির্বাচিত পুর কাউন্সিলরদের বৈঠক। সেখানে তাঁদের নেতা কে হবেন তাঁরা ঠিক করবেন।’’ ফিরহাদের কথায়, ‘‘আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। নিজের বেলাতেও (মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে) তৃণমূলের বৈঠক ডেকেছিলেন।’’ যদিও কলকাতার ভবিষ্যতের উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের পরবর্তী পুরবোর্ডের পরিকল্পনার কথা বলেছেন ফিরহাদ। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে অভিষেক তাঁদের সকলের সঙ্গে আলোচনা করে ‘কলকাতার দশ দিগন্ত’-এ যে প্রতিশ্রতির তালিকা দিয়েছিলেন, এ বার তা পূরণ করার পালা।
কলকাতা পুরভোটে ভোট শতাংশের হিসেবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-কে টেক্কা দিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসনে না-জেতা বামেরা। ফিরহাদ এ প্রসঙ্গে জানান, কলকাতা তথা রাজ্যে বিরোধী হিসেবে তিনি বামেদের দেখতে চান। তাঁরা ব্যাখ্যা, ‘‘তার মানে এই কারণে নয় বিজেপি-র প্রতি আমার কোনও অ্যালার্জি আছে। কিন্তু এই বিভাজনের রাজনীতি, এই আমার সঙ্গে আপনার লাগিয়ে দেওয়া, এই বিভেদের রাজনীতি বাংলায় চলে না।’’
বিধানসভা ভোটের আগে বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতা তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে নিশানা করেছিলেন। সে ইঙ্গিত করে ফিরহাদ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমার তো কষ্ট লাগে, যখন শুধু মুসলিম বলে আমাকে দেশদ্রোহী বলা হয়। এটাকে করাচি বলা হয়। মিনি পাকিস্তান বলা হয়। আমার অপমানিত লাগে। আমার মনে হয়, বার বার করে আমাকে প্রমাণ দিতে হবে আমি ভারতীয়। আমিও তো ভারতেরই সন্তান। এই ভারতে জন্মেছি। এই ভারতের খেয়ে বড় হয়েছি। আগামী দিনে এই ভারতেই আমার মৃত্যু হবে।’’
পুরভোটে তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই নির্বাচিত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমার পাঁচটা টার্ম (কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর পদে) হয়ে গেল। আমরা চাই পরবর্তী প্রজন্ম তাড়াতাড়ি কাজ শিখে যাক। আমার ৬৩ বছর হয়ে যাবে ১ জানুয়ারি। আর বড় জোর একটা টার্ম থাকব। এর পর বয়সের ভারে যে কাজটা আজ করতে পারি আর করতে পারব না।’’ রাজ্যের মন্ত্রিত্ব সামলানোর পাশাপাশি তাঁকে যে বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে হয়, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা নতুন কাউন্সিলর হয়েছেন, আপনাদের মাধ্যমে তাঁদের বলছি, কাউন্সিলরদের একটাই ট্যাগলাইন— ‘যখন ডাকি তখন পাই’। যে কাউন্সিলর এটা করে নিতে পারেন, তাঁকে কেউ হারাতে পারবেন না। আপনাকে আপনি হারাতে পারবেন না। আর যে কাউন্সিলরকে পাওয়া যায় না, সে জিততেও পারবে না।’’