রত্না চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
‘চট্টোপাধ্যায়’ নয়, ‘দাস’ও নয়। সাধারণ মানুষ ভোট দিয়েছেন রত্নাকে। কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে এমনই প্রতিক্রিয়া ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর।
‘চট্টোপাধ্যায়’ পদবি তাঁকে নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা দিয়েছিল কি না (কারণ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, তাঁর স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়, যাঁর সঙ্গে এখন তাঁর বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছে, তিনি ওই এলাকারই দীর্ঘ দিনের কাউন্সিলর ছিলেন), সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। যার জবাবে রত্নাদেবী জানালেন, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বেহালার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে শোভনবাবু এক দিনও ওয়ার্ডে আসেননি। সেখানে সমস্ত সমস্যায়, সমস্ত দুর্যোগে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। রত্নাদেবীর কথায়, ‘‘চট্টোপাধ্যায় হোক বা দাস, পদবি নয়, মানুষ ভোট দিয়েছেন ব্যক্তি রত্নাকে। তাই রত্না দাস হলেও আজ এই ফলই হত! কারণ, ওয়ার্ডের আগের কাউন্সিলর কে ছিলেন, তা বাসিন্দারা ভুলেই গিয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন মেয়রের ওয়ার্ডের ফলাফল কী হয়, সে দিকে নজর ছিল সকলেরই। শুধু পারিবারিক বিতর্কের জন্যই নয়, রাজনীতির আঙিনায় রত্নাদেবী কতটা ‘পরিণত’ আচরণ করতে পারেন, তার দিকেও তাকিয়ে ছিলেন অনেকে। রত্নাদেবীর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, সেই পরীক্ষায় ‘সসম্মানে’ উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘শোভন চট্টোপাধ্যায় শেষ নির্বাচনে ছ’হাজারের কাছাকাছি ভোটে জিতেছিলেন। সেখানে রত্নাদি জিতেছেন প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে। ফলে এই তথ্যেই তাঁর রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি স্পষ্ট।’’
আর এই জয়ের হাত ধরেই ‘ব্যক্তিগত ক্ষত’ ভুলতে চান রত্নাদেবী। বলছেন, ‘‘নিজের মানুষ, ঘরের মানুষ পিঠে ছুরি মেরে চলেছে সমানে, সেখানে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’