গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাস্তাঘাট নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা নেই। তবে আমাদের বাড়িতে আসার সার্ভিস রোড বেশ নিচু। তাই অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে ওখানে। আগে ওই রাস্তায় একটি নালা ছিল। পরে সেটি বুজে যাওয়ায় এই সমস্যার বাড়বাড়ন্ত। একই সমস্যা বাড়ির পিছনের রাস্তা নিয়েও। আমার পাড়া ছাড়াও শহরের অন্য অনেক জায়গাতেই এমন সমস্যা রয়েছে। আমি চাই, এ নিয়ে ভাবুক পুরসভা।
পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। এ দিকে পুরসভা যথেষ্ট নজর দেন। তবে পরিচ্ছন্নতা তো শুধু পুরসভার একার দায়িত্ব নয়, নাগরিকদেরও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। নির্দিষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও রাস্তাঘাটে আবর্জনা ফেলে নোংরা করা অনেকেরই অভ্যাস। আমি চাই, নিজের শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে আমার সহ-নাগরিকরা আরও যত্নবান হোন।
পানীয় জল নিয়ে আমার বক্তব্য আছে। সারা কলকাতায় নির্দিষ্ট সময়ে টালা আর গার্ডেনরিচ থেকে মিষ্টি জল পায়। শুধু আমাদের ওয়ার্ড নয়, সারা এলাকাতেই গার্ডেনরিচ থেকে জল আসে না। স্থানীয় জলে আয়রন বেশি। সেই জল পরিশুদ্ধ করে পানীয় হিসেবে ব্যবহার করতে বাধ্য হন এলাকাবাসীরা। এই সমস্যা বহু দিনের। পুরসভার এ দিকে কোনও দৃষ্টি নেই!
বর্ষায় সত্যিই বেহাল সার্ভিস রোড-সহ সার্ভে পার্ক। আমার বাড়ির ঠিক পিছনের নালা বর্ষার জল ধরে রাখবে বলেই তৈরি। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় সেই জল উপচে বাড়ির দোরগোড়ায় চলে আসে। বাড়িতে বসেই প্রায় বানভাসি দশা হয় আমাদের। এর প্রতিকার হওয়াটা খুবই প্রয়োজন।
আলো নিয়ে তেমন ভাবে কিছু বলার নেই। আমাদের পাড়ার রাস্তাঘাট ঠিক মতোই আলোকিত। গোটা শহরের রাস্তাঘাটেই আগের থেকে আলোর ব্যবস্থা অনেক ভাল হয়েছে। তবে সর্বত্র নিশ্চয় সমান ভাবে নয়। সে দিকগুলোতেও আশা করি একে একে নজর দেবে পুরসভা।
নিকাশি আর পানীয়ের অব্যবস্থা শুধু আমাদের এলাকায় নয়। আমার মনে হয় গোটা শহর এই সমস্যায় কম-বেশি জর্জরিত। তাই অল্প বৃষ্টিতে এখনও কলকাতা ভাসে। এই দুই সমস্যার দিকে পুরসভা নজর দিলে কলকাতার থেকে আমার চাওয়ার আর কিছুই থাকবে না।
(সংকলক: উপালি মুখোপাধ্যায়)