বদলাবে মেট্রোর পুরনো এসক্যালেটর

উল্লেখ্য, গত বছর থেকে চেষ্টা চালিয়ে দমদম স্টেশনের পাঁচটির মধ্যে চারটি এসক্যালেটর বদল করা গিয়েছে। বাকি এসক্যালেটরটিও শীঘ্রই বদলের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০২:২১
Share:

ছবি সংগৃহীত।

মেট্রো রেলের বিভিন্ন স্টেশনে ২৫ বছরের পুরনো তেরোটি এসক্যালেটর বদলের কাজ চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই শেষ করতে চায় মেট্রো।

Advertisement

ওই তালিকায় দমদম স্টেশনের দু’টি, বেলগাছিয়ার দু’টি, সেন্ট্রালের একটি, এসপ্লানেডের দু’টি, রবীন্দ্র সদনের দু’টি, চাঁদনি চকের একটি, নেতাজি ভবনের দু’টি এবং রবীন্দ্র সরোবরের একটি এসক্যালেটর রয়েছে। এর মধ্যে শনিবার রাত থেকে চাঁদনি চক স্টেশনের এসক্যালেটরটি খুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মেট্রো সূত্রের খবর, এই কাজ শেষ হতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তির নতুন এসক্যালেটরগুলি বসাতে আগের তুলনায় কম জায়গা লাগে। সে জন্য এসক্যালেটর বদল করতে গিয়ে পুরনো কাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হচ্ছে। সেই কাঠামো সরিয়ে ফেলার পরে নতুন করে এসক্যালেটর বসানোর জন্য কাঠামোর বদল করতে হচ্ছে। সে কারণেই প্রতিটি চলমান সিঁড়ি বদলের প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু দিন সময় লাগছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, গত বছর থেকে চেষ্টা চালিয়ে দমদম স্টেশনের পাঁচটির মধ্যে চারটি এসক্যালেটর বদল করা গিয়েছে। বাকি এসক্যালেটরটিও শীঘ্রই বদলের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে খবর। বছর দুই আগে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে একটি এসক্যালেলেটর আচমকা উল্টো দিকে চলতে শুরু করায় কয়েক জন যাত্রী পড়ে গিয়ে আহত হন। বছরখানেক আগে দমদম স্টেশনেও ঘটে একই ঘটনা। তার পরেই মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া এসক্যালেটরগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

Advertisement

কলকাতা মেট্রোর ২৪ টি স্টেশনে প্রায় ৮০টির মতো এসক্যালেটর রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি বাদ দিলে বাকিগুলি ২০০৯ সালের পরে বসানো। ওই ৩৭টি এসক্যালেটরের অধিকাংশই আবার মেট্রোর ভূগর্ভস্থ স্টেশনগুলিতে রয়েছে। সেগুলির বেশিরভাগেরই বয়স ২৫ বছরের বেশি। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওই চলমান সিঁড়িগুলি এখন ধাপে ধাপে বদলের প্রক্রিয়া চলছে। সাধারণ ভাবে প্রতি ৩-৪ মাস অন্তর মেট্রোর এসক্যালেটরগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কয়েক দিন করে বন্ধ রাখা হয়।

মেট্রো সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে যাত্রী-সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। প্রায় সব বয়সের যাত্রীরাই এখন এসক্যালেটর ব্যবহার করেন। স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের দ্রুত প্ল্যাটফর্মে পৌঁছনো ছাড়াও দ্রুত বেরিয়ে আসার প্রয়োজনে নতুন এসক্যালেটরের চাহিদা বাড়ছে।

এ প্রসঙ্গে মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মেট্রো স্টেশনে এসক্যালেটর চালু থাকা যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের অন্যতম জরুরি দিক। তাই পুরনো এসক্যালেটর বদলের কাজ খুব গুরুত্ব সহকারে করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, চেন্নাইয়ের একটি সংস্থাকে ১১টি নতুন এসক্যালেটরের বরাত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি চলতি মাসেই এসে পৌঁছনোর কথা। আগামী দু’মাসের মধ্যে ওই এসক্যালেটরগুলি বসানো হবে। যাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এসপ্লানেড, শ্যামবাজার, মহাত্মা গাঁধী রোডের মতো ব্যস্ত স্টেশনগুলিতে আরও কয়েকটি নতুন এসক্যালেটর বসানো হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement