ফাটল দেখাচ্ছেন এক বাসিন্দা। ফাইল ছবি
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য গত মে মাসে বৌবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও ওই সব বাড়িতে ব্যবসায়িক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত অনেককেই সে সময়ে বাড়িছাড়া হতে হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সোমবার প্রথম দফায় ১৪ জনের হাতে সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিল কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একাংশ কারিগরদের মাধ্যমে ছোট ছোট ঘরে অলঙ্কার তৈরির কাজ চালাতেন। তাই ঘরছাড়া হওয়ার পরে ওই ব্যবসায়ীদের অনেকেই বিকল্প ঘরের ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ছিলেন তাঁরাও। এ দিন কেএমআরসিএলের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) এ কে নন্দী জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ির নকশা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাড়িমালিকদের প্রয়োজনীয় সম্মতি নেওয়ার কাজও প্রায় শেষের মুখে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে ওই এলাকার মাটির স্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেলেই ভেঙে পড়া বাড়িগুলিরনির্মাণকাজ শুরু করা হবে। আর যে সব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভেঙে পড়েনি, সে ক্ষেত্রেও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মেনেই পদক্ষেপ করা হবে।
বৌবাজারে মেট্রোর সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলেই বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভেঙে পড়া বাড়ির পুনর্নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করার বিষয়ে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ।